শুভব্রত মুখার্জি: ভারতীয় অ্যাথলেটিক্সের ইতিহাসে দুই কিংবদন্তি পিটি ঊষা এবং নীরজ চোপড়া। একজনের হাত ধরে এসেছে ভারতের অ্যাথলেটিক্স ইতিহাসে প্রথম পদক তাও আবার সোনা। আর অপরজন ভারতের বুকে মহিলা অ্যাথলেটিক্সে এনেছিলেন 'নবজাগরন'। সেই পিটি ঊষাই জানালেন তিনি নীরজ চোপড়ার জ্যাভলিন থ্রোয়ের ফাইনাল দেখার পরে জ্যাভলিন খেলাটার প্রেমে পড়ে গিয়েছেন।
হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে পিটি ঊষা জানান নীরজের এই পদকটা দেশের তরুণ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে অনেকাংশে সাহায্য করবে। এই প্রসঙ্গে পিটি ঊষা স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে জানান ২০১৬ সালে অনুর্ধ্ব-২০ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে তিনি টিনএজার নীরজকে দেখেছেন, সেখানে কী ভাবে সে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।পাঁচ বছর পরে সেই নীরজকেই যখন নিজের ঘরে বসে তিনি টোকিও গেমসে সোনা জিততে দেখেছেন তখন অনুভূতিটাই আলাদা। উল্লেখ্য ১৯৮৪ সালে লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক্সে মহিলা ১০০ মিটারের দৌড়ে পদকের একেবারে কাছাকাছি পৌঁছেও চতুর্থ হয়ে শেষ করতে হয়েছিল পিটি ঊষাকে। সেই পদক জয়ের যন্ত্রনা গোটা ভারত এখনও ভুলতে পারেনি।
নীরজের ফাইনালে সোনা জয়ের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে পিটি ঊষা বলেন 'যখন ও প্রথম থ্রোটা নিয়েছিল তখন ও খুব ভাল করল, সেই তুলনায় অন্যরা ভাল ফল করতে পারেনি। দ্বিতীয় থ্রোতেই ও আরও ভাল করল। সেই সময়েই আমি উপলব্ধি করি এই দিনটি নীরজের হতে চলেছে। আমি বুঝতে পারছিলাম ও মেডেল পাবে। ও সোনা পাওয়াতে আমি নিজের আনন্দটা চেপে রাখতে পারিনি। ওর চোখে মুখে ডেডিকেশান, ফোকাস, শৃঙ্খলা ফুটে উঠছিল। ও ভীষন রকম মাটির মানুষ। এ রকম একজন মানুষকে না ভালবেসে থাকা যায়। ভবিষ্যতে আমি ওর থেকে আরও ভাল ফল আশা করছি। ওর এই সাফল্য আমাদের তরুণ প্রজন্মকে নিশ্চয় অনুপ্রেরণা দেবে। আমি তো ওর জ্যাভলিন থ্রো দেখে জ্যাভলিন খেলাটার প্রেমে পড়ে গিয়েছি।'
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।