মণিপুরের একটি ছোট্ট গ্রাম নংপোক কাকচিংয়ের থেকে উঠে আসা মীরাবাঈ চানু আজ গোটা দেশের কাছে অনুপ্রেরণা। টোকিওয় ভারোত্তোলনে রুপো জিতে বিশ্বদরবারে দেশের নাম উজ্জ্বল করা ভারোত্তোলকের জয়গাথার পিছনে একাধিক ব্যক্তির অবদান রয়েছে। তাঁদেরই কয়েকজনকে সম্মান জানিয়ে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করলেন তিনি।
মীরাবাঈয়ের গ্রাম থেকে ইম্ফলের স্পোটর্স অ্যাকাডেমি খুমান লাম্পাক কমপ্লেক্সের দূরত্ব ছিল ২৫ কি.মি। গ্রামে একটি ছোট চায়ের দোকান চালানো মীরবাঈয়ের মায়ের পক্ষে মেয়েক ট্রেনিং করানোর পাশপাশি সঠিক ডায়েট দেওয়া খুবই কষ্টসাধ্য় ছিল, তা বলাই বাহুল্য। এই সময়ই ভারোত্তোলকের সাহায্যে এগিয়ে আসেন তাঁর গ্রামের ওপর দিয়ে যাওয়া ট্রাক ড্রাইভাররা। মীরাবাঈকে প্রত্যেক দিন তাঁরা ট্রাকে করে পৌঁছে দিতেন ইম্ফলে। এর সুবাদে যা অর্থ সাশ্রয় হত, তা দিয়েই চলত মীরাবাঈয়ের ডায়েট।
দেশে ফিরেই কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করতে সেই সকল ট্রাক ড্রাইভারদের খোঁজ করেছিলেন মীরাবাঈ। তিনি জানান, ‘আমি সেই সকল ট্রাক ড্রাইভার যারা আমায় বাড়ি থেকে ট্রেনিং সেন্টারে পৌঁছে দিত, তাদের সঙ্গে দেখা করে তাদের আর্শীবাদ নিতে চাই।’ যেমন কথা তেমনই কাজ। বৃহস্পতিবার (৫ অগস্ট) মীরাবাঈ ১৫০ জন ট্রাক ড্রাইভার ও তাঁদের হেল্পারদের জন্য এক মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেন। সেখানে তাঁদের শার্ট এবং মণিপুরী স্কার্ফ দানের পাশপাশি তাঁদের পা ছুঁয়ে আর্শীবাদ নিতেও দেখা যায় ২৭ বছর বয়সী ভারোত্তোলককে।
মীরাবাঈয়ের এই সম্মান জানানোর পক্রিয়ার পরেই আবেগে ভেসেছে গোটা নেটদুনিয়া। আনন্দ মহিন্দ্রা টুইট করে লেখেন, ‘আমার মতে মীরবাঈ চানুর এই কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনই তাঁকে সোনাজয়ী (আসলে রুপোজয়ী) করে। ওকে ওঁদের (ট্রাক ড্রাইভারদের) পা ছুঁয়ে আর্শীবাদ নিতে দেখে আমার চোখও ভিজে উঠেছে।’ আরেকজন নেটানাগরিকের মতে, ‘এই ঘটনা মীরার (মীরাবাঈ) ব্যক্তিত্বের সামনে তাঁর অলিম্রিক্সে মেডেল জয়কে নগণ্য প্রমাণ করে দেয়।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।