শুভব্রত মুখার্জি: বিশ্ব ক্রমতালিকায় এক নম্বরে থেকে এ বারের টোকিও অলিম্পিক্সে খেলতে নেমেছিলেন দীপিকা কুমারী। তার উপর স্বাভাবিক ভাবেই ছিল প্রত্যাশার গগনচুম্বী পারদ। তবে তিনি তার পারফরম্যান্সের মধ্যে দিয়ে সেই প্রত্যাশার ধারেকাছেও পৌঁছাতে পারেননি। ২০১২ লন্ডন অলিম্পিক্স, ২০১৬ রিও অলিম্পিক্সের মতন এ বারও তাঁকে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে। বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনারও সম্মুখীন হতে হয়েছে তাঁকে। তাই এ বার আর অযথা চাপ নেওয়া নয়, তাঁর প্রধান লক্ষ্য, এক সম্পূর্ণ আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি থেকে তার খেলাটা দেখা । যাতে বড় পর্যায়ে তিনি ভাল ভাবে খেলাটা খেলতে পারেন।
উল্লেখ্য, এই বছর দুরন্ত ছন্দে ছিলেন দীপিকা। তিনি পাঁচ পাঁচটি বিশ্বকাপ পদকও জেতেন। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই ১৩০ কোটি ভারতীয়ের আশা ছিল তিনি টোকিও থেকে পদক নিয়ে ফিরবেন। এমন আবহে দাঁড়িয়ে দীপিকা মনে করেন, সময় এসে গেছে অলিম্পিক্সের মতন মঞ্চে অযথা চাপের বোঝা মাথায় নিয়ে পারফরম্যান্সে প্রভাব যাতে না পড়ে, তাতে লক্ষ্য দিতে হবে। সম্পূর্ণ এক আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি থেকে তিনি গেমসে পারফরম্যান্স করার লক্ষ্য নিলে, ফল যে ভাল হবেই তা তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস।
এই চাপের বিষয়টি নিয়ে বলতে গিয়ে দীপিকা জানান ' ওই পাঁচটা রিং-এর চাপটা আমার উপর খুব বেশি মাত্রায় চেপে বসছে।' তিনি বলেন তিনি উপলব্ধি করেছেন, গেমসে মেডেলের পিছনে দৌড়ানোর থেকে, তার উচিত মূহুর্তগুলোকে উপভোগ করা। তিনি আর ও বলেন 'সবাই বারবার বলতে থাকে যে আমাদের মেডেল নেই। সেই কথাটা আমাদের মানসিক ভাবে চাপে রাখে। আমাদের সব প্রতিযোগিতাকেই এক চোখে দেখতে হবে তা সে বিশ্বকাপ হোক বা অলিম্পিক্স। আমাদের এই জায়গায় দাঁড়িয়ে মূহুর্তগুলোকে উপভোগ করতে হবে।'
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।