অলিম্পিক্সে নিজের প্রথম জ্যাভলিন থ্রোয়ের সময় দেরি হয়ে ছিল ভারতের সোনা জয়ী নীরজ চোপড়ার। কিন্তু কেন দেরি হয়েছিল নীরজের! আসলে অলিম্পিক্স ফাইনাল শুরুর আগে নীরজের জ্যাভলিন ছিল পাকিস্তানের অলিম্পিয়ান আরশাদ নাদিমের কাছে। পরে আরশাদের থেকে চেয়ে নেন নীরজ।
এই ঘটনার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নীরজ বলেন, ‘ফাইনাল শুরুর আগে জ্যাভলিনটা খুঁজে পাচ্ছিলাম না। হঠাৎ দেখি সেটা নিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তানের নাদিম। সঙ্গে সঙ্গে ওর কাছে গিয়ে বলি, ‘ভাই জ্যাভলিনটা দাও। এটা আমার। ছুড়তে হবে আমাকে। তখন ও ফেরত দেয়।’
তারপর জ্যাভলিন নিয়ে এসে থ্রো করেন ভারতের সোনাজয়ী অ্যাথলিট। নীরজ বলেন, ‘সেই জন্য প্রথমটা তাড়াতাড়ি নিতে হয়। যোগ্যতা অর্জন পর্বে আরশাদ দারুণ পারফরম্যান্স করে। ফাইনালেও ভাল খেলেছে ও। জ্যাভলিনে পাকিস্তানের আগ্রহ বাড়িয়ে দেবে নাদিম। ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভাল খেলবে ওরা।’ নীরজ বলেন, ‘সেই জন্য প্রথমটা তাড়াতাড়ি নিতে হয়। যোগ্যতা অর্জন পর্বে আরশাদ দারুণ পারফরম্যান্স করে। ফাইনালেও ভাল খেলেছে ও। জ্যাভলিনে পাকিস্তানের আগ্রহ বাড়িয়ে দেবে নাদিম। ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভাল খেলবে ওরা।’
যদিও তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে মুখ খুলতে বাধ্য হন নীরজ। একটি ভিডিয়োবার্তায় নীরজ বলেন, ‘এখন একটা বিষয় নিয়ে হইচই হচ্ছে। একটি সাক্ষাৎকারে আমি বলেছিলাম যে প্রথম থ্রোয়ের আগে আমি পাকিস্তানের অ্যাথলিট আরশাদ নাদিমের থেকে জ্যাভেলিন নিয়েছিলাম। ওটা নিয়ে অকারণে বিতর্ক তৈরি করা হয়েছে। যেটা একেবারেই সাধারণ বিষয়। আমাদের ব্যক্তিগত জ্যাভেলিন একটি জায়গায় রাখতে হয়। কিন্তু প্রত্যেক থ্রোয়ার সেটা ব্যবহার করতে পারেন। এটা নিয়ম। সেটায় কোনও ভুল নেই। জ্যাভেলিন নিয়ে নিজের থ্রোয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন আরশাদ। আমার থ্রোয়ের জন্য আমি চাই। এটা এত বড় বিষয় নয়। আমার খারাপ লাগছে যে আমায় ব্যবহার করে এটাকে এত বড় বিতর্কে পরিণত করা হয়েছে। এরকম কাজ না করার জন্য সবাইকে আর্জি জানাচ্ছি। খেলাধুলো সবাইকে এককাট্টা হয়ে চলতে শেখায়। সব জ্যাভেলিন থ্রোয়ারের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে। নিজেদের মধ্যে কথা বলি। তাই এমন কোনও কথা বলবেন না, যাতে আমাদের ধাক্কা লাগে।’