তাঁকে ঘিরে প্রত্যাশা ছিলই। সেই প্রত্যাশা কিন্তু পূরণ করেছেন মনু ভাকের। রবিবার ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিক্সের দ্বিতীয় দিনেই ভারতকে প্রথম পদক এনে দিলেন মনু। মহিলাদের ১০ মিটার এয়ার পিস্তল রাউন্ডে ব্রোঞ্জ পেলেন মনু ভাকের। মাত্র ০.১ পয়েন্টের জন্য রুপোর পদক হাতছাড়া হল মনুর। স্বাভাবিক ভাবেই কিছুটা হতাশ। তবে ভারতের প্রথম মহিলা শুটার হিসাবে অলিম্পিক্স থেকে পদক পেয়ে ইতিহাস লিখলেন মনু।
২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিক্সে শেষ বার গগন নারাং পদক দিয়েছিলেন ভারতকে। তিনিও ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছিলেন। তার পর দু'টি অলিম্পিক্সে শুটিং থেকে কোনও পদক আসেনি। এবার প্যারিস অলিম্পিক্সের শুরুতেই সেই খরা কাটালেন মনু। হরিয়ানার শুটারের কাছে প্রথম থেকেই পদকের আশা করেছিল ভারত। শনিবার কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডে তিনি তৃতীয় হয়ে ফাইনালে উঠেছিলেন। ফাইনালেও শেষ করলেন তৃতীয় স্থানে থেকেই। যদিও ফাইনালে কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডের পয়েন্ট যোগ করা হয়নি। মহিলাদের ১০ মিটার এয়ার পিস্তলে অলিম্পিক্স রেকর্ড গড়ে সোনা জেতেন দক্ষিণ কোরিয়ার ও ইয়ে জিন। তাঁর স্কোর ২৪৩.২। রুপো পেয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ারই কিম ইয়েজি। তাঁর স্কোর ২৪১.৩। মনুর লড়াই শেষ হয় ২২১.৭ স্কোরে।
আরও পড়ুন: ধোনির মতো হেলিকপ্টার শট হাঁকালেও, তাতে নিজস্বতা যোগ করে চমকে দিলেন রশিদ- ভিডিয়ো
কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডের মতো অবশ্য ফাইনালে ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেননি মনু ভাকের। সাতটি শটে তিনি ১০-এর কম স্কোর করেন। সেটা না হলে হয়তো আরও ভালো ফল হত মনুর। প্রথম স্টেজের পরই সোনা জয়ের দৌড় থেকে কিছুটা পিছিয়ে যান মনু। তাও শেষ পর্যন্ত স্নায়ুর চাপ সামলে দ্বিতীয় স্টেজে ভালো পারফর্ম করে দেশকে পদক এনে দিলেন হরিয়ানার ২২ বছরের শুটার।
মনুর সাফল্যে উচ্ছ্বসিত তাঁর মা সুমেধা ভাকের। তিনি জানিয়েছেন, টোকিয়োর ব্যর্থতার পর মনু ভাকেরের প্রত্যাবর্তনের লড়াইটা সহজ ছিল না। কিন্তু তিনি কঠোর পরিশ্রম করেছেন। সুমেধা বলেছেন, ‘টোকিয়ো অলিম্পিক্সের পর মনু এই অলিম্পিক্সে (প্যারিস) জন্য ট্রেনিং চালিয়ে গিয়েছে। লড়াই করার জন্য ও যাতে সঠিক খাবার পায় যাতে এবং ওর ওর প্রশিক্ষণ চালিয়ে যেতে পারে, সেটা নিশ্চিত করেছি আমি। প্যারিস অলিম্পিক্সের জন্য আমার মেয়ে এবং অন্যান্য ভারতীয় ক্রীড়াবিদরা অনেক পরিশ্রম করেছে এবং আমি প্রার্থনা করি, তারা যেন সকলে খুশি মনে দেশে ফিরে আসে। মনুর প্রথম ঘরবাড়ি হল শুটিং রেঞ্জ, ও শুধু এখানে (নিজের বাড়িতে) ঘুমতে আসত। ও ঘন্টার পর ঘন্টা অনুশীলন করে গিয়েছে।’ সঙ্গে সুমধা যোগ করেছেন, ‘আমি সব সময়ে চেয়েছি, মনু যাতে খুশি হয়। ওর সাফল্যে আমি গর্বিত।’
মনুর বাবা রাম কিষান ভাকেরও উচ্ছ্বসিত। তিনি আবার বলেছেন, ‘পুরো দেশ মনুকে নিয়ে গর্বিত, ওর এখনও দু'টি ইভেন্ট বাকি আছে> আমরা আশা করছি যে, ও আরও ভালো করবে। সরকার ও ফেডারেশনের কাছ থেকে অনেক সমর্থন পেয়েছে মনু। দেশের জনগণের আশীর্বাদে ও এই সাফল্য অর্জন করতে পেরেছে। এটি একটি বিশাল প্রাপ্তি।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।