অলিম্পিক্সে ভারতের আরও একটি পদক। এবারও সেই শুটিংয়ের হাত ধরেই। ৫০ মিটার রাইফেল থ্রি পজিশনে ভারতকে আরও একটি ব্রোঞ্জ এনে দিলেন স্বপ্নিল কুসালে। ভারত যে তিনটি পদক পেয়েছে, তিনটিই এসেছে শুটিং থেকে। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত নিজের স্নায়ু ধরে রেখে দেশকে পদক এনে দিলেন স্বপ্নিল।
প্যারিস অলিম্পিক্স থেকে ভারত এই নিয়ে তৃতীয় ব্রোঞ্জ পদক পেল। আর তিনটি পদকই এসেছে শুটিং থেকে। যেটা নিঃসন্দহে ভারতের কাছে রেকর্ড। এর আগে, মনু ভাকের ১০ মিটার এয়ার পিস্তলে ভারতকে প্রথম ব্রোঞ্জ পদক এনে দিয়েছিলেন। এর পর ১০ মিটার মিক্সড ডাবলসে মনু এবং সরবজ্যোত সিং মিলে ভারতকে দ্বিতীয় ব্রোঞ্জ পদক দেন। এবার তৃতীয় ব্রোঞ্জ পদক এনে দিলেন স্বপ্নিল।
আরও পড়ুন: পদক থেকে আর এক ধাপ দূরে, কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলেন নিশান্ত, পারবেন ১৬ বছরের খরা কাটাতে
ইতিহাস লিখলেন স্বপ্নিল
স্বপ্নিল কুসালে ৪৫১.৪ পয়েন্ট নিয়ে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন। তিনি বিশ্বের এক নম্বর শুটারকে হারিয়ে ব্রোঞ্জ পদক জিতে নেন। ভারতের হয়ে অলিম্পিক্স থেকে পদক জয়ী সপ্তম শুটার হলেন স্বপ্নিল। তবে এই প্রথম বার থ্রি পজিশন রাইফেলে ভারতকে পদক এনে দিয়ে ইতিহাস লিখলেন স্বপ্নিল। ফাইনালের যোগ্যতা অর্জন করলেও, তাঁকে নিয়ে কিন্তু খুব বেশি প্রত্যাশা কেউ করেননি। কিন্তু সকলকে চমকে দিলেন স্বপ্নিল।
যদিও শুরুটা খুব একটা ভালো করতে পারেননি তিনি। প্রথম রাউন্ডে ছিল ‘নিলিং’, অর্থাৎ হাঁটু মুড়ে বসে শুটিং। সেখানে প্রথম সিরিজে (পাঁচটি শট) ৫০.৮ স্কোর করেছিলেন স্বপ্নিল। যে কারণে তিনি নেমে গিয়েছিলেন সাত নম্বরে। এর পর থেকে অবশ্য ধীরে ধীরে প্রত্যাবর্তন করতে শুরু করেন ভারতীয় শুটার। পরের সিরিজে স্কোর আর একটু ভালো করেন তিনি। ৫০.৯ স্কোর করেন। তৃতীয় সিরিজে আবার ৫১.৬ স্কোর করেন তিনি। তিনি নিলিং পজিশন থেকে মোট ১৫৩.৩ স্কোর করেন।
এর পরে ‘প্রোন’, অর্থাৎ বুকে ভর দিয়ে শুটিং ছিল। সেখানে স্বপ্নিল মোট ১৫৬.৮ (৫২.৭, ৫২.২ এবং ৫১.৯) স্কোর করে তিনি চারে উঠে আসেন। পরের ‘স্ট্যান্ডিং’, অর্থাৎ দাঁড়িয়ে শুটিং বিভাগের দু'টি সিরিজ়ে ৫১.১ এবং ৫০.৪ স্কোর করেন। অর্থাৎ তিনি মোট ১০১.৫ স্কোর করে তিন নম্বরে উঠে আসেন। তখনই তাঁকে নিয়ে আশা আলো দেখতে শুরু করেছিল গোটা ভারত।
একটি শটের পরে অবশ্য ‘এলিমিনেশন’ ছিল। অর্থাৎ একজন করে বাদ পড়ছিলেন। তিন নম্বর স্থান ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ ছিল স্বপ্নিলের কাছে। তিনি প্রথম শটে ১০.৪ মারার পর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শটে যথাক্রমে ৯.৪ এবং ৯.৯ স্কোর করেন। এবং চতুর্থ স্থানে থাকা প্রতিযোগীর সঙ্গে স্কোরের বড় পার্থক্য গড়ে তিনি তৃতীয় স্থানে থেকে ব্রোঞ্জ নিশ্চিত করে ফেলেন। এই ইভেন্টে দ্বিতীয় স্থানে শেষ করলেন সের্হি কুলিশ। তাঁর সঙ্গে ০.৬ পয়েন্টের পার্থক্য ছিল স্বপ্নিলের। সোনা জেতেন চিনের ইয়ুকুন লিউ।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।