২২শে শ্রাবণ, দিনটা বাঙালি ও ভারতীয়দের কাছে একেবারেই বিশেষ একটা দিন। এই দিন হল কবি গুরুর প্রয়াণ দিবস। এই দিনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভেসে উঠে রবীন্দ্র সঙ্গিতের ধ্বনি। আর এমনদিনে টোকিয়োর ন্যাশনাল অলিম্পিক্স স্টেডিয়ামে বেজে উঠল রবীন্দ্র সঙ্গিত। একজন বাঙালি ও একজন ভারতীয় হিসাবে এর থেকে বড় প্রাপ্তি আর কি হয়। এতদিন অলিম্পিক্সে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডস থেকে কোনও পদক ছিল না ভারতের ঝুলিতে। নীরজ চোপড়ার হাত ধরে সেই আক্ষেপ মিটিছে ভারতের অ্যাথলেটিক্সে, তবে শুধু পদক নয়, নীরজ চোপড়ার হাত ধরে একেবারে সোনা জিতেছে ভারত। এরপরেই টোকিয়োর ন্যাশনাল অলিম্পিক্স স্টেডিয়ামে ভারতের পতাকা উত্তোলন করা হয়। এবং জাতীয় সংগীত বাজান হয়।
অলিম্পিক্সে নীরজ সোনা জেতায় প্রথা মেনে ভারতের জাতীয় সঙ্গীত ‘জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে’ বাজল। বিশ্বকবির মৃত্যুদিনে জাতীয় সঙ্গীত বাজার জন্য নেটাগরিকরা বাড়তি ধন্যবাদ জানিয়েছেন নীরজ চোপড়াকে। রবীন্দ্র সঙ্গীতে ভরে ওঠে টোকিয়োর ন্যাশনাল অলিম্পিক্স স্টেডিয়াম। যা প্রত্যেক ভারতীয় ও বাঙালির গায়ে কাঁটা দিয়েছিল। জয়ের পর পোডিয়ামে পদক নিতে উঠে যথারীতি আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন নীরজ। একটা সময়ে কেঁদে ফেলেন নীরজ। ক্যামেরায় ধরা পড়ে নীরজের চোখের জল।
মিলখা সিং এবং পিটি উষারা পারেননি। অল্পের জন্য অলিম্পিক্সের পোডিয়ামে উঠতে পারেননি তাঁরা। সেই বিষাদ কাটিয়ে শনিবার যখন ঐতিহাসিক মুহূর্ত এল, তখন সকলের খুশির সব বাধ ভেঙে গেল। ২২ শ্রাবণ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যুদিনে এমন একটা ঘটনা লক্ষ লক্ষ ভারতীয় এবং বাঙালির মনকে ছুঁয়ে গেল।