ফাইনালে উঠতে না পেরে কেঁদে ফেলেছিলেন, অনুপ্রাণিত করতে কী বলেছিলেন সিন্ধুর বাবা?

৩ অগস্ট সিন্ধু সম্ভবত দেশে ফিরছেন বলে তাঁর বাবা জানিয়েছেন। দিল্লি বিমান বন্দরে মেয়েকে আনতে যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে পিভি রামানার।

মেয়ের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত রামানা।

পিভি সিন্ধু ভারতের প্রথম মহিলা প্লেয়ার, যিনি অলিম্পিক্সে জোড়া পদক পেলেন। এমনিতে মোট ৬ জন ভারতীয় মহিলা প্লেয়ার অলিম্পিক্সে পদক জিতেছেন। কিন্তু জোড়া পদক সিন্ধু ছাড়া আর কারও নেই। সিন্ধুর এই সাফল্যে আবেগপ্রবণ তাঁর বাবা পিভি রামানা।

রবিবার ব্রোঞ্জ মেডেল ম্যাচে সিন্ধুর প্রতিপক্ষ ছিলেন চিনের হি বিংজিয়াও, যিনি টুর্নামেন্টে অষ্টম বাছাই ছিলেন। আর সিন্ধু টোকিও-তে ষষ্ঠ বাছাই হিসেবে কোর্টে নেমেছিলেন। ব্রোঞ্জ মেডেল ম্যাচে ৫৩ মিনিটের লড়াইয়ে তিনি ২১-১৩, ২১-১৫ স্ট্রেট গেমে বিংজিয়াওকে উড়িয়ে দেন সিন্ধু।

রবিবার সিন্ধুর জয়ের পর সাংবাদিক সম্মেলনে পিভি রামনা বলেছেন, ‘আমি ভারত সরকার এবং স্পোর্টস অথরিটিকে ধন্যবাদ জানাব। এবং সিন্ধুকে ওরা যে ভাবে সাহস জুগিয়েছে, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। ও দেশের জন্য পদক জেতায় আমি খুশি। ব্রোঞ্জ পদকের জন্য ম্যাচ খেলাটা সত্যি খুব যন্ত্রণার। শনিবার ওকে আমি অনুপ্রাণিত করেছি। সকলের আশীর্বাদেই ও একটি পদক জিতেছে। আর ভারতের প্রথম মহিলা হিসেবে পরপর দু'টি অলিম্পিক্স থেকে পদক জেতায় আমি সত্যিই খুব খুশি। দেশের নাম উজ্জ্বল করেছে ও।’

এর সঙ্গেই তিনি যোগ করেছেন, ‘গতকাল (শনিবার) আমি ওকে বলেছিলাম, নিজের সেরাটা দাও। তুমি আমাকে উপহার দেবে, সেটা ভেবে কোর্টে নেমো। ওর চোখে জল ছিল। কিন্তু এটা ভাল বিষয়, ও সেই জায়গা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সব মিলিয়ে ও কোর্টে খুবই আগ্রাসী মনোভাব দেখিয়েছে। আমি ওকে পরামর্শ দিয়েছিলাম, শুধু আক্রমণ করে যাওয়ার জন্য।’

৩ অগস্ট সিন্ধু সম্ভবত দেশে ফিরছেন বলে তাঁর বাবা জানিয়েছেন। দিল্লি বিমান বন্দরে মেয়েকে আনতে যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে পিভি রামানার। সুশীল কুমারের পর সিন্ধু হলেন দ্বিতীয় ভারতীয় ক্রীড়াবিদ, যাঁর দু'টি অলিম্পিক্স পদক রয়েছে।