ইতিহাস গড়লেন সেন্ট লুসিয়ার রানার জুলিয়াল আলফ্রেড। দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রে ইতিহাসে নাম তুলে ফেললেন ছোট্ট দেশটির এই মেয়ে। দেশকে এনে দিলেন প্রথম অলিম্পিক্স পদক, তাও আবার এক্কেবারে সোনার পদক। ট্র্যাকে তাঁর দৌড় দেখে স্তম্ভিত হয়ে গেলেন দর্শকরা। দুরন্ত গতিতে বাকি প্রতিদ্বন্দিদের পিছনে ফেলে মহিলাদের ১০০ মিটার স্প্রিন্টে সোনা জিতলেন আলফ্রেড, মজা করে এখন তাঁকে তাঁর দেশের মানুষ ডাকছে লেডি বোল্ট বলেই। অর্থাৎ অলিম্পিক্সে ৯.৫৮ সেকন্ডে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে রেকর্ড করা উসেইন বোল্টের সঙ্গেই এখন তুলনা করা হচ্ছে সেন্ট লুসিয়ার এই রানারের।
আরও পড়ুন-উন্মাদের মতো শট খেলতে গিয়ে আউট আর্শদীপ! রাগ-বিরক্তি চেপে রাখতে পারলেন না বিরাট-গৌতি!
শা কারি রিচার্ডসন এই দৌড়ে দ্বিতীয় হন। এই দৌড় অবশ্য মহিলা বিভাগের সকল রানারের কাছেই ছিল অত্য়ন্ত কঠিন। কারণ ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের এই ইভেন্টের শুরু হয় বৃষ্টিস্নাত স্টেট দে ফ্রান্সের ট্র্যাকে। টানা বৃষ্টির কারণে ট্র্যাকও ছিল জলের জন্য পিচ্ছিল। এরই মধ্যে নিজের ভারসাম্য ধরে রেখে মাত্র ১০.৭২ সেকন্ডে ১০০ মিটার স্প্রিন্ট দৌড় শেষ করেন সেন্ট লুসিয়ার আলফ্রেড। ০.১৫ সেকন্ড ব্যবধানে রিচার্ডসনকে টপকে প্রথম হন আলফ্রেড। ১০.৯২ সেকন্ড সময় নিয়ে এই দোড়ে তৃতীয় হন মেলিসা জেফারসন।
আরও পড়ুন-শুধু টাকা নয়, লাল বলে খেলার আগ্রহই নেই কারোর! টেস্ট না খেলার কারণ জানালেন রাসেল…
রিচার্ডসনের কাছে অবশ্য বড় সুযোগ ছিল সোনা জয়ের। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন এই স্প্রিন্টার প্রথমবার নেমেছিলেন অলিম্পিক্সে। তিন বছর আগে মাদক সেবনের অভিযোগে নামা হয়নি টোকিয়োতে। তাই প্যারিসে সেই স্বপ্ন পূরণ করবেন ভেবেছিলেন, যদিও দ্বিতীয় স্থানে শেষ করলেও খুব একটা নিজের পারফরমেন্স হতাশ নন তিনি। এক্ষেত্রে সোনা জয়ের ক্ষেত্রে আলফ্রেডই যে একমাত্র প্রবল দাবিদার হতে পারেন, সেটা সেমিফাইনাল দৌড়ের সময়ই টের পেয়েছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শা কারি রিচার্ডসন। হলও তাই। আনকোরা সেন্ট লুসিয়ার জুলিয়েন আলফ্রেডই সোনা জিতে নিলেন প্যারিসে ১০০ মিটার দৌড়ে।
আরও পড়ুন-‘যখনই আমাদের দেখা হয়,আমরা…’বিরাটের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন মহেন্দ্র সিং ধোনি
সেমিফাইনালে ০.৫ সেকন্ডের ব্যবধানে শা কারিকে পিছনে ফেলে জুলিয়েন প্রথম স্থান দফল করেছিল। এরপর থেকেই চর্চায় আসেন সেন্ট লুসিয়ার এই স্প্রিন্টার। শা কারির কাছে সুযোগ থাকলেও বৃষ্টিস্নাত কোর্টে জুলিয়েনের বিরুদ্ধে মধুর প্রতিশোধ নিতে পারলেন না তিনি, সেমির তুলনায় ফাইনালে ব্যবধান বাড়িয়েই সোনা জিতলেন উসেইন বোল্টের এলাকার আলফ্রেড। গ্যালারিতে দর্শক সংখ্যা ছিল ৬৯ হাজার, আর সেন্ট লুসিয়ার জনসংখ্যা ২লক্ষেরও কম। এই পরিসংখ্যানই বলে দেয় দেশের জন্য কতটা খ্যতি অর্জন করেছেন জুলিয়েন। ১২ বছর বয়সেই হারিয়েছিলেন বাবাকে, এরপর যার কাছে স্প্রিন্টে হাতে খড়ি সেই কাকাও মারা যান পাঁচ বছর পর। এরপর খেলা ছেড়ে দিয়েছিলেন। পরে উসেইন বোল্টকে দেখেই ফের স্প্রিন্টে ফেরেন, আর প্যারিসে এসে নিজের আইডলের অনুপস্থিতিতে দেশকে গর্বিত করলেন তিনি।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।