ছেলের মনোসংযোগে যেন ব্যাঘাত না ঘটে,ফাইনালের আগে স্বপ্নিলের সঙ্গে কথাই বলেননি তাঁর বাবা-মা!

ছেলের পদক জয়ের পরেই সংবাদ সংস্থা পিটিআই সাক্ষাৎকার নেয় স্বপ্নিলের বাবার। সেই সাক্ষাৎকারে তিনি জানান ‘ আমরা ওঁকে ওঁর কাজে ফোকাস করার কথা সবসময়ে বলেছি এবং ও সেই মত কাজ ও করছে। আর সেই কারণেই আমরা গতকাল অর্থাৎ ওঁর ফাইনাল ম্যাচের আগে ওঁকে ফোন করিনি যাতে ওঁর মনোসংযোগে কোন ব্যাঘাত ঘটাতে না পারে। ’

শুভব্রত মুখার্জি:-প্রতি চার বছর অন্তর বসে অলিম্পিক গেমসের আসর। যাকে বলা হয় 'দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ'। এই গেমসে দেশের হয়ে পদক জিততে বিভিন্ন দেশের ক্রীড়িবিদরা যে পর্যায়ে টানা কঠোর পরিশ্রম করেন তা ভাবনার অতীত। শুধু কঠোর পরিশ্রম নয়,এর পাশাপাশি রয়েছে অসম্ভব নিষ্ঠা, শৃঙ্খলা এবং অদম্য জেদ। রয়েছে একাধিক স্বার্থত্যাগের কাহিনী। একজন ক্রীড়াবিদ যখন অলিম্পিক গেমসের মঞ্চে পদক জিততে সফল হন তখন তাঁর কৃতিত্ব যেমন থাকে তেমন থাকে তাঁকে ওই জায়গায় পৌঁছে দিতে তাঁর কোচ, কোচিং স্টাফ থেকে শুরু করে পরিবারের প্রতিটা লোকের আত্মত্যাগ। বৃহস্পতিবার প্যারিস গেমসে ভারতের হয়ে ব্রোঞ্জ পদা জিতেছেন স্বপ্নিল কুসালে। পুরুষদের ৫০ মিটার রাইফেল থ্রি পজিশনের লড়াইতে ব্রোঞ্জ পেয়েছেন তিনি।আর এরপরেই এমন এক আত্মত্যাগের অজানা কাহিনী সামনে এসেছে। সামনে এসেছে সন্তানের জন্য তাঁর বাবা-মা'র ভাবনা, তাঁর সাফল্য কামনায় এক অভিনব আত্মত্যাগের গল্প।

বৃহস্পতিবার কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে যখন প্যারিস শহরে ছেলে স্বপ্নিল লড়াই করছেন তাঁর দেশের হয়ে পদক জিততে ,তখন তাঁর বাবা-মা চোখ রেখেছিলেন টিভির পর্দায়। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা ছিল ছেলে যেন সফলতা পায়। ঈশ্বর সেই প্রার্থনা শুনে সাড়াও দিয়েছন। দেশের হয়ে ব্রোঞ্জ পদক জেতেন স্বপ্নিল। তাঁর বাবা-মা'র গলায় অবশ্য ছিল আত্মবিশ্বাসের সুর।ফাইনাল শুরুর আগে থেকেই তারা আশাবাদী ছিলেন যে ছেলে পদক পাবেনই। বাস্তবেও হয়েছে তাই।ছেলের পদক জয়ের পরেই সংবাদ সংস্থা পিটিআই সাক্ষাৎকার নেয় স্বপ্নিলের বাবার। সেই সাক্ষাৎকারে তিনি জানান ‘ আমরা ওঁকে ওঁর কাজে ফোকাস করার কথা সবসময়ে বলেছি এবং ও সেই মত কাজ ও করছে। আর সেই কারণেই আমরা গতকাল অর্থাৎ ওঁর ফাইনাল ম্যাচের আগে ওঁকে ফোন করিনি যাতে ওঁর মনোসংযোগে কোন ব্যাঘাত ঘটাতে না পারে। ’

এরপর তিনি আরো যোগ করেন ' গত ১০-১২ বছর হয়ে গেলে ও ঘরের বাইরে রয়েছে। এই সময়ে ও নিজেকে শুটিংয়ের জন্য প্রস্তুত করেছে।স্বপ্নিল পদক জয়ের পরে আমাদের ফোন বাজা আর থামছেই না। প্রচুর মানুষ স্বপ্নিলকে শুভেচ্ছা জানাতে ফোন করেছেন।' স্বপ্নিলের মা জানিয়েছেন পাবলিক স্কুলে পড়াশোনা করেছেন স্বপ্নিল। এই সময়েই শুটিংয়ের প্রতি ওঁর আগ্রহ জন্মায়। এরপর স্বপ্নিল সাঙ্গলি থেকে নাসিকে যান যেখানে আধুনিক পদ্ধতিতে উন্নতমানের শুটিং অনুশীলনের সুবিধা পেতে।