টোকিওর অলিম্পিক্স সাক্ষী হয়েছে ভারতীয় হকি দলের জয়গাথার। প্রথমবার পুরুষ এবং মহিলা, উভয় হকি দলই সেমিফাইনালে নিজেদের জায়গা পাকা করতে সক্ষম হয়েছে। সোমবার (২ অগস্ট) দুরন্ত পারফরম্যান্সে রানি রামপালরা অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে শেষ চারে পৌঁছে গেছেন। গ্রুপ পর্বের প্রথম তিন ম্যাচ হারার পর এই কামব্যাক আরও বেশি অভূতপূর্ব।
কামব্যাক সম্পর্কে মীর রঞ্জন নেগির থেকে ভাল ধারনা হয়তোই আর কারুর আছে। ১৯৮২ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১-৭ গোলে পরাজয়ে পরাজয়ের পর প্রবল তিরস্কার ভেসে আসে তাঁকে লক্ষ্য করে। তবে এই নেগিই গোলকিপিং কোচ এবং সহকারী কোচ থাকাকালীন ভারতীয় দল যথাক্রমে ২০২০ কমনওয়েল গেমস ও ২০০৪ এশিয়া কাপ জেতে। টোকিওতে মহিলা হকি দলের পারফরম্যান্সে উচ্ছ্বসিত নেগি মনে করছেন এই সাফল্যের ফলে দেশে হকির নতুন সূর্যোদয় ঘটবে।
হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেগি বলেন, ‘আমার মনে হয় এই জয়ের মধ্যে দিয়ে মহিলা হকি এবং ভারতীয় হকিতে নতুন যুগের আগমন ঘটবে। মহিলা দলকে প্রায়ই একপাশে সরিয়ে রাখা হয়েছে, তাদের নিয়ে কোনদিনই বেশি আলোচনা হয়নি। সেই ছবি বদলাতে এমন একটা জয়ের ভীষণ প্রয়োজন ছিল। আজ সকলেই মহিলা দলকে নিয়ে কথা বলছে। এরপর ফলাফল যাই হোক না কেন, এই মহিলারা ইতিমধ্যেই সকলে চ্যাম্পিয়ন।’
(টোকিও অলিম্পিক্স ২০২০-র যাবতীয় খবর, আপডেটের জন্য চোখ রাখুন হিন্দুস্তান টাইমস বাংলায়)
গুরজিত কউরের গোলের সুবাদে লিড নেওয়ার পর ৩৮ মিনিট দুরন্তভাবে ডিফেন্ড করে ভারতীয় দল। রুখে দেয় অস্ট্রেলিয়ার নটি পেনাল্টি কর্ণার। ভারতীয় দলের অনুশাসিত এই ডিফেন্স দেখে আপ্লুত প্রাক্তন জাতীয় হকি তারকা। সবিতা দেবীদের এই জমাট রক্ষণ মন জয় করে নিয়েছে তাঁর।
‘সত্যি বলতে ওরা যে অস্ট্রেলিয়াকে হারাবে, সেই কথা কেই কল্পনাও করেনি। কিন্তু ওরা সকলেই বাঘিনীদের মধ্যে ঝাপিয়ে পড়ে বল নিজেদের দখলে রাখতে দারুণ মানসিকতা ও দলের প্রতি দায়িত্ববোধের পরিচয় দেয়। ওদের গ্রুপ পর্বে খেলা দলের থেকে পুরোপুরি ভিন্ন রকম লেগেছে। আমি আজ অবধি কোন দলকে অস্ট্রেলিয়ার মতো এত শক্তিশালী বিপক্ষের বিরুদ্ধে এত পেনাল্টি কর্ণার রুখে দিতে দেখেনি। ডিফেন্সে যে পরিমাণ করা হয়েছে তাতে দলে বিশাল পরিবর্তন এসেছে।’ দাবি প্রাক্তন ভারতীয় কোচের।