আগেই ইতিহাস গড়ে ফেলেছিলেন শুটার আলেসান্দ্রা পেরিলি। মহিলাদের শুটিংয়ের ট্র্যাপ ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জিতে ছোট্ট দেশ সান মারিনোকে বিশ্বের দরবারে গর্বিত করেছিলেন তিনি। তাঁর এই সাফল্য ঘোর কাটার আগেই সান মারিনো পেল দ্বিতীয় পদক। ট্র্যাপ মিক্সড টিম ফাইনালে জিয়ান মার্কো বার্তিকে সঙ্গী করে আলেসান্দ্রা পেরিলি জিতে ফেললেন দ্বিতীয় পদক। এই ইভেন্টে রুপো পেল সান মারিনো।
সোনা জয়ের ম্যাচে তাঁরা মুখোমুখি হয়েছিলেন স্পেনের ফতিমা গালভেজ এবং আলবার্টো ফার্নান্ডেজের। তবে সোনা জেতা হল না। কিন্তু রুপো জিতেও সান মারিনোর মাথা বিশ্বের দরবারে উঁচু করে দিল তাদের দেশের শুটিং টিম। শুটিং থেকেই তারা দু'টি পদক পেল। আর আলেসান্দ্রা পেরিলি নিজেও পেলেন দু'টি পদক। এই প্রথম বার অলিম্পিক্সে পদক এল সান মারিনো। স্বাভাবিক ভাবেই রুপো জয়টাও তাদের প্রথম প্রাপ্তি।
ইউরোপের ছোট্ট একটি দেশ সান মারিনো। এই দেশের আয়তন মাত্র ২৪ স্কোয়্যার মাইলস। আর জনসংখ্যা খুব বেশি হলে ৩৪ হাজারের সামান্য বেশি হবে। সেই দেশ থেকেই এ বার অলিম্পিক্সে দু'টো পদক এল। তাও সেই দেশের মাত্র পাঁচ জন অ্যাথলিট অংশ নিয়েছিলেন অলিম্পিক্সে। যেখানে ভারতীয় অ্যাথলিটরা বড় বাহিনী নিয়ে, তুলনামূলক ভাবে বেশি সুযোগ সুবিধে পাওয়ার পরেও ব্যর্থ হয়েছেন। এবং তাঁরা ব্যর্থতার দায় অন্য কারও ঘাড়ে চাপে যখন ব্যস্ত, তখন সান মারিনো অলিম্পিক্সের ইতিহাসে অন্য গল্প লিখে ফেলল।
এর আগেও অলিম্পিক্সে সান মারিনোর হয়ে সেরা পারফরম্যান্স করেছিলেন আলেসান্দ্রাই। ২০১২ লন্ডন অলিম্পিক্সে এই একই ইভেন্টে অল্পের জন্য পদক হাতছাড়া করেছিলেন তিনি। চতুর্থ স্থানে শেষ করেছিলেন আলেসান্দ্রা পেরিলি। আর তারও আগে ১৯৮৪ সালে লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিক্সে ৫০ মিটার রাইফেলের প্রোন ইভেন্টে ফ্রান্সেসো নান্নি পঞ্চম স্থান পেয়েছিলেন। আর এ বার অলিম্পিক্সের প্রথম পদক সান মারিনোকে এনে দিলেন আলেসান্দ্রা পেরিলি। সবচেয়ে কম জনসংখ্যা বিশিষ্ট দেশ হিসেবে অলিম্পিক্সে পদক জিতে নতুন নজির গড়ল সান মারিনো।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।