শুভব্রত মুখার্জি: সালটা ২০০০ অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল সেবারের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক্স। সেই গেমসে ভারতের হয়ে একমাত্র পদক জিততে সমর্থ হয়েছিলেন কর্নম মালেশ্বরী। ভারোত্তলন বিভাগে প্রথম পদক এসেছিল এক মহিলার হাত ধরে। ঠিক তার ২১ বছর পরে জাপানের শহর টোকিওতে ভারতের হয়ে নজির গড়ে ফেললেন ২৬ বছর বয়সী তরুণী ভারোত্তোলক মীরাবাঈ চানু। টোকিও অলিম্পিক্সে ভারত মীরার হাত ধরেই প্রথম পদক জয় নিশ্চিত করল। মীরাবাঈ রুপো জিতলে স্ন্যাচে যদি আর একটু বেশি ওজন তুলতে সক্ষম হতেন তবে হয়তো সোনাটাও লেখা থাকত তার নামে।
ঠিক এমন আবহে দাঁড়িয়ে মীরা মনে করিয়ে দিলেন আজ থেকে ২১ বছর আগের কর্নম মালেশ্বরীর কথা। সেবার সিডনি অলিম্পিক্সে প্রতিযোগিতায় নামার আগে অনেকটাই পিছিয়ে ছিলেন তিনি। তার বডিওয়েট অন্যান্য প্রতিযোগীর থেকে অনেকটাই বেশি ছিল। ফলে তাকে পদক পেতে গেলে অসাধারণ একটা পারফরম্যান্স করতে হত। আর সেদিন ৬৯ কেজি বিভাগে সেটাই করেছিলেন তিনি। সেই সময়ে অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা ২৫ বছর বয়সী কর্নম মালেশ্বরী ১৯৯০ এর দশকে পরপর চারটি সোনা জিতেছিলেন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ানশিপে। ফলে তাকে ঘিরে একটা আশার জায়গা আগে থেকেই তৈরি হয়েছিল। বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে লড়াই করে সেই আশা ভরসার পূর্ণ মর্যাদা দিয়েছিলেন তিনি।
এবারের টোকিও অলিম্পিক্সে নামার আগে চানু বিশ্ব ক্রমতালিকায় ছিলেন দুই নম্বরে। গেমস শুরুর আগেই মহিলা বিভাগের ৪৯ কেজির প্রতিযোগিতা নিয়ে আশা প্রত্যাশার পারদ চড়েছিল। আমরা হিন্দুস্তান টাইমস বাংলায় যে সম্ভাব্য পদকজয়ীদের তালিকা দিয়েছিলাম তাতেও ওনার নাম ছিল। আর সেই আশা ভরসার পূর্ণ মর্যাদা দিয়ে ২০১৪ সালের কমনওয়েলথে রুপো, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা,২০১৮ কমনওয়েলথে সোনাজয়ী প্রতিযোগী, এবারের গেমস থেকে রুপো জিতে ভারতের ঝুলিতে তুলে দিলেন টোকিও গেমসের প্রথম পদক।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।