করোনার অতিমারী প্রভাব ফেলতে পারেনি পিভি সিন্ধুর অলিম্পিক্সের অনুশীলনে। টোকিও অলিম্পিক্সের নামার আগে এমনটাই জানালেন ভারতের অন্যতম সেরা শাটলার পিভি সিন্ধু। তিনি জানিয়েছেন করোনার কারণে অনেকটা বেশি অনুশীলন করতে পেরেছেন তিনি। জীবনের বেশির ভাগ সময়টাই তিনি অনুশীলন করে কাটিয়েছেন বলে জানান সিন্ধু। তিনি জানান, ‘আমি মনে করি (বিরতি চলাকালীন) অতিমারীকে অনেকটাই কাজে লাগিয়েছি কারণ আমি আরও বেশি প্রশিক্ষণ নিতে পেরেছি এবং আমার কৌশলের প্রতি বেশি একাগ্র হতে পেরেছি এবং দক্ষতার দিকেও মনোনিবেশ করতে পেরেছিলাম তাই আমি অবশ্যই বলব যে এটি সত্যি হয়েছে (সাহায্য করেছে)।’
টোকিও অলিম্পিক্সে তুলনামূলক সহজ গ্রুপেই রয়েছেন পিভি সিন্ধু। হায়দরাবাদির গ্রুপে রয়েছে, ইসরায়েলের পোলিকারপোভা কেসনিয়া ও হংকংয়ের চেয়ুন নগান ই-রা। এনারা বিশ্ব ক্রমতালিকার নিচের দিকে থাকলেও প্রতিপক্ষকে ছোট করে দেখতে রাজি নন সিন্ধু। বরং ফোকাস ধরে রেখে শুরু থেকেই নিজের সেরাটা দিতে চান সিন্ধু। অতিমারীতে বেশি করে অনুশীলন করতে পেরে খুশি তিনি, ‘এটি অলিম্পিকের জন্য আমার প্রস্তুতির উপর কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি কারণ আমার ধারণা আমি যথেষ্ট সময় পেয়েছি। সাধারণত আপনি যখন কোনও টুর্নামেন্টে খেলতে যান তখন ফিরে আসুন এবং প্রশিক্ষণ করুন, এটাই হয়ে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা প্রশিক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত সময় পাইনা। তাই আমি মনে করি যে এই প্রথমবারের আমরা প্রশিক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত সময় পেলাম এবং অলিম্পিক্সের প্রস্তুতির জন্যও পর্যাপ্ত সময় পেয়েছি।’
২০১৬ সালের রিও অলিম্পিকের ফাইনালে পৌঁছেছিলেন পিভি সিন্ধু। তবে সেই বছর সিলভার পেয়েই খুশি থাকতে হয়েছিল সিন্ধুকে। ওই প্রতিযোগিতায় তিনি স্পেনের কারোলিনা মারিনের কাছে হেরে গিয়েছিলেন। ফলে রূপো নিয়েই দেশে ফিরতে হয়েছিল সিন্ধুকে। সেই আক্ষেপ বুকে নিয়েই টোকিও অলিম্পিক্সে নামতে চলেছেন সিন্ধু। তাঁর থেকে এবারে ভারত সোনার পদক উপহার চাইছে। সিন্ধুও নিজের সেরাটা দিতে চাইছেন, ‘আমি নিশ্চিত যে প্রত্যাশা থাকবেই, প্রতিবারের মতো দায়িত্বও থাকবে কিন্তু আমি কেবল আশা করি যে আপনাদের ভালবাসা এবং সমর্থন দিয়ে আমি সেখানে যাব, পদক জিতব এবং দেশে ফিরে আসব।’