শুভব্রত মুখার্জি: অলিম্পিক্সের ইতিহাসে যে ক্রীড়া বিভাগটিতে ভারত সবথেকে সফল তা হল হকি। এই দলগত বিভাগে এখনও পর্যন্ত ৬টি স্বর্ণপদক জয় ভারতের ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। তবে ১৯৭৬ মন্ট্রিওল অলিম্পিক্সে কৃত্রিম টার্ফের ব্যবহার শুরুর পরে ১৯৮০ সালের গেমসে সোনা জয়ের পরে আর হকিতে সাফল্যের মুখ দেখেনি তারা। টোকিও গেমসে গ্রাহাম রিডের প্রশিক্ষনাধীন শ্রীজেশরা পদক জয়ের বিষয়ে মরিয়া। আর সেই লক্ষ্যে খেলতে নেমেই তাদের প্রথম ম্যাচে দুরন্ত লড়াই করে কিইউয়িদের বিরুদ্ধে ৩-২ গোলে জয় পেল ভারত।
রবিবার অজিদের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে ভারতের এই পারফরম্যান্স নিঃসন্দেহে তাদেরকে অনেকটাই আত্মবিশ্বাস যোগাবে তা বলাই বাহুল্য। কারণ এদিন পিছিয়ে পড়ে দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন রুপিন্দররা। গেমসে পুরুষদের হকির গ্রুপ লিগের ম্যাচে ভারতের হয়ে জোড়া গোল করলেন হরমনপ্রীত। একটি গোল করেন রুপিন্দর পাল সিং। গোলকিপার শ্রীজেশ এদিন স্বপ্নের ফর্মে ছিলেন। একাধিক গোল তিনি না বাচালে ভারতের 'দুর্গপতন' রোখা সম্ভব হত না।
ম্যাচের চতুর্থ কোয়ার্টারে শ্রীজেশের পারফরম্যান্স ছিল বিশ্বমানের। আজ ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল ভারতের। পেনাল্টি কর্নার থেকে রুপিন্দরের শট ক্রসবারে লাগে। ম্যাচের মাত্র ৬ মিনিটেই কেন রাসেলের গোলে এগিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। পেনাল্টি কর্নার থেকে কিইউয়িদের গোল করে এগিয়ে দেওয়ার মাত্র ৪ মিনিটের ব্যবধানে সমতায় ফেরে ভারত। রুপিন্দর পাল সিংয়ের পেনাল্টি কর্নার থেকে গোলে সমতা ফেরাতে সক্ষম হয় ভারত। দ্বিতীয় কোয়ার্টার শেষ হওয়ার পাঁচ মিনিট আগে রিভিউয়ে পেনাল্টি কর্নার পায় ভারত। গোল করে ভারতকে ২-১ এ এগিয়ে দেন হরমনপ্রীত। তৃতীয় কোয়ার্টারে পেনাল্টি কর্নার থেকেই নিজের দ্বিতীয় গোল করেন হরমনপ্রীত। ফলত ৩-১ গোলে এগিয়ে যায় ভারত। ১০ মিনিটের ব্যবধানে তৃতীয় কোয়ার্টারেই নিউজিল্যান্ডের হয়ে ব্যবধান কমান স্টিফেন জেনেস। চতুর্থ ও শেষ কোয়ার্টারে তুল্যমূল্য লড়াই হলেও গোল করতে না পারায় ৩-২ ব্যবধানে ম্যাচ জেতে ভারত।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।