৫২ বছর পর অলিম্পিক্সে হকিতে ইতিহাস গড়েছে ভারত। পরপর দুটি অলিম্পিক্সে পদক জিতেছে ভারত। দীর্ঘদিন যাবত এই ইভেন্টের ভারতের পদক জয় ছিল অধরা, সেই খরা কাটে ২০২০ টোকিয়ো অলিম্পিক্সে। সেবারই বহুদিন পর ভারতকে ব্রোঞ্জ পদক এনে দেন শ্রীজেশরা। এবারও ছিল রুপো বা সোনা জেতার বড় সুযোগ, কিন্তু জার্মানির বিপক্ষে দুরন্ত লড়াই করেও হেরে যায় ভারত, নাহলে আরও ভালো কিছুর অপেক্ষা করতেই পারত দেশবাসী। দেশের হয়ে এটি প্যারিস অলিম্পিক্সে ভারতের চতুর্থ ব্রোঞ্জ পদক। আর ভারতের ঐতিহাসিক পদক জয়ের পরই দুজন ব্যক্তিকে এই সাফল্যের নেপথ্য কারিগর হিসেবে তুলে ধরছেন অনেকে। একজন হলেন দঃ আফ্রিকার প্যাডি আপটন, অপরজন সেদেশেরই মাইক হর্ন। ঠিক কোন কারণে তাঁদেরকে জয়ের অংশীদার মনে করা হচ্ছে, জেনে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুন-প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়নকে হারিয়ে কুস্তির সেমিতে আমন! পদক জয়ের সুযোগ ভারতের সামনে…
প্যাডি আপটন
২০০৮ সালে ভারতীয় ক্রিকেট দলের মেন্টাল অ্যান্ড স্ট্রেন্থ কন্ডিশনিং কোচ হিসেবে গ্যারি কার্স্টেনের সঙ্গেই যোগ দিয়েছিলেন দঃ আফ্রিকার প্যাডি আপটন। সেই সময় তাঁর অবদান বোঝা না গেলেও কয়েক বছরের মধ্যে ভারত ২০১১ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হতেই বোঝা যায় তাঁর অবদান। এবার প্যারিস অলিম্পিক্সেও ভারতীয় হকি দলের সঙ্গে স্ট্রেন্থ কন্ডিশনিং কোচ হিসেবে যুক্ত ছিলেন প্যাডি। সুখে দুঃখে পাশে থেকেছেন, খেলোয়াড়দের মানসিক এবং শারীরিক শক্তি বাড়াতে মোটিভেট করেছেন, আর শেষমেষ এসেছে ব্রোঞ্জ পদক জয়ের সাফল্য। ভারতের দুই ঐতিহাসিক পারফরমেন্সের ক্ষেত্রেই অবদান রয়েছে এই প্রোটিয়ার।
আরও পড়ুন-ডুরান্ড কাপে ডার্বির আগে এয়ার ফোর্সকে হাফ ডজন গোল মোহনবাগানের! জোড়া গোল কামিনসের…
মাইক হর্ন
প্যাডি আপটনের মতোই দঃ আফ্রিকার রহস্য প্রেমী মাইক হর্নেরও অবদান রয়েছে ভারতের ভালো পারফরমেন্সের নেপথ্যে। ২০১১ সালে ভারতীয় ক্রিকেট দল, ২০১৪ সালে জার্মানির বিশ্বকাপজয়ী ফুটবল দলকে মোটিভেট করেছিলেন তিনি, বলা যায় মোটিভেশন কোচ ছিলেন তিনি। প্রতিযোগিতার আগে বিভিন্ন বিষয় নিয়েই খেলোয়াড়দের উদ্বুদ্ধ করে তাঁদের থেকে সেরাটা বের আনার কাজই করেন হর্ন। এবার অলিম্পিক্স শুরুর আগেও হর্নের সঙ্গে বেশ কিছুদিন সময় কাটিয়েছিলেন মনপ্রীত,জরমনপ্রীতরা। তাই তিনিও যে এই জয়ের সঙ্গে যুক্ত, মনে করছেন অনেকে।
আরও পড়ুন-দর্শকদের চিৎকার, ম্যাচের সেভ কোনওদিন ভুলব না!বিদায়বেলায় আবেগঘন বার্তা শ্রীজেশের…
কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রাক্তন ডিরেক্টর জয় ভট্টাচার্য বলছেন, ‘ভারতের ২০১১ বিশ্বকাপ জয়, জার্মানির ২০১৪ ফুটবল বিশ্বকাপ জয়ের সঙ্গে প্যারিসে ভারতের হকি দলের ব্রোঞ্জ পদক জয়ের একটা মিল রয়েছে, সেটা হল মাইক হর্ন। কেকেআরেও ওর সঙ্গে কাজ করেছি ২০১৪ সালে, সেবার কেকেআরও চ্যাম্পিয়ন হয়। আমরা দুজনে নর্থ পোলে পৌঁছেছিলাম শীতকালে অন্ধকারের মধ্যে, এরপর ওকে প্রশ্ন করেছিলাম এটাই কি সবথেকে কঠিন? তখন ও বলেছিল ,'আসলে অ্যামাজনের ৬৫০০ কিমি সাঁতার কেটে, শুধু মাছ আর মাংস খেয়ে থাকার কাজটা বেশি কঠিন। সাপে কামড়ানোর পর ৫দিন প্রায় অন্ধ হয়ে গেছিলাম, চিলিতে অন্ধকারের মধ্যে সাঁতার কাটাও যথেষ্ট কঠিন ছিল'। আর এমন এক ব্যক্তির সঙ্গেই অলিম্পিক্স শুরুর আগে সময় কাটিয়েছিল ভারতীয় হকি দল ’।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।