ভিডিয়ো: বিলাসবহুল বাড়ি, গাড়ি ও বাইকের সমাহার- দেখুন নীরজ চোপড়ার পানিপথের প্রাসাদ

ভারতের সবচেয়ে সফল ক্রীড়াবিদদের একজন হিসাবে বিবেচনা করা হয়, তার একটি বড় গাড়ি সংগ্রহশালা রয়েছে। তার কাছে কয়েকটি দামী দামী বাইকও রয়েছে। জানা গিয়েছে যে নীরজ চোপড়ার কুকুরের নাম টোকিও। আসলে টোকিও অলিম্পিক্সে সোনা জিতেছিলেন নীরজ চোপড়া, সেই কারণেই নিজের প্রিয় গোল্ডেন রিট্রিভারের নাম রাখেন।

প্যারিস অলিম্পিক্স ২০২৪-এর পুরুষদের জ্যাভলিন থ্রো ফাইনালে নিজের শিরোপা রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন ভারতের সোনার ছেলে নীরজ চোপড়া। শুধুমাত্র রুপোর পদক জেতেন তিনি। পাকিস্তানের আরশাদ নাদিম অলিম্পিকে ৯২.৯৭ মিটারের রেকর্ড-ব্রেকিং নিক্ষেপ করে সোনা জিতেছিলেন। প্যারিস গেমসে ৯০ মিটার চিহ্ন টপকে দেন তিনি এবং ইতিহাস তৈরি করেছিলেন। এদিকে নীরজ চোপড়া ভারতের একমাত্র ক্রীড়াবিদ হয়েছেন যিনি পরপর অলিম্পিক গেমসে দুটি ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড পদক জিতেছিলেন। দেশের অন্যতম মনোযোগী ক্রীড়াবিদ হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন নীরজ চোপড়া। ইতিমধ্যেই দেশকে অনেক ঐতিহাসিক কৃতিত্ব এনে দিয়েছেন নীরজ চোপড়া। তবে তার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে খুব কমই জানা যায়।

এনডিটিভি যখন পানিপথে নীরজের পরিবারের কাছে পৌঁছে ছিল তখন সকলে নীরজ চোপড়ার বিলাসবহুল বাড়ি ও তাঁর একাধিক গাড়ি সংগ্রহ দেখে অবাক হয়ে যান। এছাড়াও নীরজের গোল্ডেন রিট্রিভার কুকুরের নামটি অলিম্পিক্সের নামে দেওয়ার পিছনের কারণ জানা গিয়েছে।

আসলে নীরজ চোপড়া, যাকে ভারতের সবচেয়ে সফল ক্রীড়াবিদদের একজন হিসাবে বিবেচনা করা হয়, তার একটি বড় গাড়ি সংগ্রহশালা রয়েছে। তার কাছে কয়েকটি দামী দামী বাইকও রয়েছে। জানা গিয়েছে যে নীরজ চোপড়ার কুকুরের নাম টোকিও। আসলে টোকিও অলিম্পিক্সে সোনা জিতেছিলেন নীরজ চোপড়া, সেই কারণেই ওই টোকিও শহরের নামে নিজের প্রিয় গোল্ডেন রিট্রিভারের নাম রাখেন।

অলিম্পিক গেমসে তার রুপোর পদক পাওয়ার পরে, নীরজ চোপড়া বলেছিলেন যে তিনি ২০১৬ সাল থেকে আরশাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এবং এটি প্রথমবারের মতো যে পাকিস্তানি অ্যাথলিট তার থেকে ভালো পারফর্ম করেছেন। ফাইনালের পরে নীরজ বলেছিলেন, ‘আরশাদ ভালো পারফর্ম করেছে এবং আমি তাকে অভিনন্দন জানাতে চাই। আমি ২০১৬ সাল থেকে তার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি, এবং এই প্রথমবার সে জিতেছে।’

টোকিও অলিম্পিক্সের স্বর্ণপদক বিজয়ী বলেন, ‘চোট সত্ত্বেও, আমি নিজের সেরাটা দিয়েছি। থ্রোটা ভালো ছিল, কিন্তু আমার মধ্যে এখনও অনেক কিছু বাকি আছে এবং সেটা অর্জনের জন্য আমাকে ফিট থাকতে হবে।’ ৯০ মিটার চিহ্নে আঘাত করা নীরজের সবচেয়ে বড় লক্ষ্যগুলির মধ্যে একটি। তিনি প্যারিসে ল্যান্ডমার্ক অর্জন করতে পারেননি কিন্তু আশা হারাননি। নীরজ বলেছেন, ‘আমি এখনও ৯০ মিটার থ্রো অর্জন করতে পারিনি, কিন্তু দ্বিতীয় প্রচেষ্টার সময়, আমি অনুভব করেছি যে আজকের দিনটি হতে পারে। আমার নিজের উপর বিশ্বাস আছে, এবং আমি জানি যে আমি একদিন সেই মাইলফলকে পৌঁছাব। নিজের দেশের পতাকা ধরে রেখে জয়ী হব। নিজের দেশের জন্য একটি পদক জেতা একটি অবিশ্বাস্য অনুভূতি।’

নীরজ চোপড়া উপসংহারে বলেছেন, ‘গত দুই বা তিন বছর আমার জন্য খুব একটা ভালো ছিল না। আমি সবসময়ই ইনজুরিতে ছিলাম। প্রশিক্ষণে, আমি আমার কুঁচকির (আঘাত) কারণে খুব বেশি থ্রো করি না, আমি সত্যিই অনেক চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমাকে কাজ করতে হবে। আমার চোট (আঘাত মুক্ত থাকা) এবং কৌশল।’