মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে ততদিনে ভারত ২০০৭ টি-২০ বিশ্বকাপ জিতেছে। হাতে তুলেছে ২০১১ ওয়ান ডে বিশ্বকাপের ট্রফি। ক্যাপ্টেন কুল-এর মুকুটে তখনও অধরা ছিল আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পালক। ২০১৩-য় সেই লক্ষ্যেই ইংল্যান্ড পাড়ি দেয় টিম ইন্ডিয়া এবং শেষমেশ বৃত্তটা পূর্ণ করে দেশে ফেরে তারা।
টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ধোনির মাস্টার স্ট্রোক ছিল ধাওয়ান-রোহিতের ওপেনিং জুটিকে লড়াই শুরুর দায়িত্ব দেওয়া। দুই ওপেনার গোটা টুর্নামেন্টেই ভারতকে শক্ত ভিতে বসিয়ে দেওয়া অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেন। টপ অর্ডারে বিরাট কোহলির উপস্থিতি আলাদা করে চোখ টানে মিনি বিশ্বকাপে।
দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ফাইনালে উঠতে বিশেষ অসুবিধা হয়নি ভারতের। ২৩ জুন বার্মিংহ্যামের এজবাস্টনে ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে মুখোমুখি হয় আয়োজক ইংল্যান্ডের। ঠিক ৭ বছর আগে এই দিনটিতেই ইংল্যান্ডকে হারিয়ে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির খেতাব জেতে টিম ইন্ডিয়া।
সেই শেষবার কোনও আইসিসি ইভেন্ট জয়ের স্বাদ পায় ভারতীয় দল। তার পর থেকে এপর্যন্ত সম্ভাবনা জাগিয়েও বড় মঞ্চ থেকে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে মেন ইন ব্লু'দের।
বৃষ্টির জন্য ৫০ ওভারের ম্যাচ কমে দাঁড়ায় ২০ ওভারে। অর্থাৎ, টি-২০ ম্যাচের রূপ নেয় ফাইনাল। টস জিতে ভারতকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় ইংল্যান্ড। নির্ধারিত ২০ ওভারে টিম ইন্ডিয়া ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১২৯ রান তোলে। বিরাট কোহলি ৩৪ বলে ৪৩ রান করেন। শিখর ধাওয়ান ২৪ বলে ৩১ রান করে সাজঘরে ফেরেন। রবীন্দ্র জাদেজা অপরাজিত থাকেন ২৫ বলে ৩৩ রান করে। ৩টি উইকেট নেন রবি বোপারা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রানে আটকে যায়। বোপারা ব্যাট হাতেও ইংল্যান্ডের হয়ে ৩০ রান করেন। মর্গ্যান করেন ৩৩ রান। জাদেজা, অশ্বিন ও ইশান্ত ২টি করে উইকেট নেন। ৫ রানের সংক্ষিপ্ত ব্যবধানে ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। তার আগে ২০০২ সালে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যুগ্মভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল টিম ইন্ডিয়া।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।