২০০১'এর মার্চ মাসে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট আধিপত্যে থাবা বসিয়েছিল ভারত। ইডেনের ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ের পর ২২ মার্চ চেন্নাইয়ে সিরিজ জিতে স্টিভ ওয়ার বিজয় রথের চাকা থামিয়ে দিয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের টিম ইন্ডিয়া।
কাকতলীয়ভাবে এক দশক পর মার্চ মাসেই আইসিসি বিশ্বকাপে অজিদের একাধিপত্য খর্ব করেছিল মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল। ২০১১'র ২৪ মার্চ, আমদাবাদের মোতেরায় বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে রিকি পন্টিংয়ের অস্ট্রেলিয়াকে বিধ্বস্ত করে টিম ইন্ডিয়া।
১৯৯৯, ২০০৩ ও ২০০৭, পর পর তিনটি বিশ্বকাপ জিতে অস্ট্রেলিয়া পা দিয়েছিল ভারতের মাটিতে। ইতিহাসের প্রথম অধিনায়ক হিসেবে তিনটি বিশ্বকাপ জয়ের লক্ষ্য নিয়ে অভিযান শুরু করেছিলেন রিকি পন্টিং। স্বাভাবিকভাবেই টুর্নামেন্টের ফেভারিট ছিল অজিরা। কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের বাধা টপকাতে পারলে অস্ট্রেলিয়ার উপর্যুপরি চতুর্থ বিশ্বকাপ জয়ের পর সুগম হতো সন্দেহ নেই। যদিও সেই সম্ভাবনা সমূলে বিনষ্ট করে ভারত।
২০১১'র ঠিক এই দিনটিতেই (২৪ মার্চ) অজিদের বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে দিয়ে সেমিফাইনালের পথে পা বাড়ায় ভারত। পরে সেমিফাইনাল ও ফাইনালে নিজেদের দাপট বজায় রেখে টিম ইন্ডিয়া শেষমেশ দ্বিতীয় বারের মতো ওয়ান ডে ফর্ম্যাটে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়।
ব্যাটে-বলে যুবরাজ সিংয়ের দুরন্ত পারফর্ম্যান্সের সুবাদেই অজিদের পর্যুদস্ত করে ভারত। প্রথমে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়া ৬ উইকেটে ২৬০ রান তোলে। জবাবে ভারত ১৪ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটের বিনিময়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ২৬১ রান তুলে নেয়। ৪৪ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ব্যাট হাতে ৫৭ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেন যুবি। তিনিই ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন।
২৪ মার্চ দিনটি অজি ক্রিকেটে কলঙ্কিত হয়ে রয়েছে অন্য একটি কারণে। ২০১৮'র এই দিনটিতেই কেপ টাউনে কুখ্যাত স্যান্ড পেপার গেট বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। যার জেরে নির্বাসিত হতে হয় স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার ও ক্যামেরন ব্যানক্রফ্টকে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।