অংশগ্রহণই আসল, ফলাফল নয়। কোনও অলিম্পিক গেমসে নয়, কার্যত এই মন্ত্র নিয়ে ১৯৮৩ বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিল কপিল দেবের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় ক্রিকেট দল। তখনও ওয়ান ডে ফর্ম্যাটের সঙ্গেই ঠিক মতো সড়গড় ছিল না ভারত। তা সত্ত্বেও তাঁদের পারফর্ম্যান্সে যে এমন চমক অপেক্ষা করে ছিল, আগে থেকে তার আঁচ পাওয়া সম্ভব ছিল না ক্রিকেটবিশ্বের।
লিগের ম্যাচে তারকাখচিত ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানোটাই ভারতীয় দলে আত্মবিশ্বাসের সঞ্চর করে। টুর্নামেন্টে যাদের একবার হারানো গিয়েছে, ফাইনালে তাদের আবার কেন পরাস্ত করা যাবে না? এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার প্রবল ইচ্ছা নিয়ে মাঠে নামা ভারত ৩৭ বছর আগে ঠিক এই দিনটিতেই ইতিহাস গড়েছিল লর্ডসে। ১৯৮৩-র ২৫ জুন জোড়া বিশ্বকাপ জয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে প্রথমবার দেশকে বিশ্বচ্যাম্পিয়নের গৌরব এনে দেন কপিলরা।
ফাইনালে লড়াইটা ছিল ডেভিড বনাম গোলিয়াথের। একদিকে গর্ডন গ্রিনিজ, ডেসমন্ড হেইন্স, ভিভ রিচার্ডস, ক্লাইভ লয়েড, ম্যালকম মার্শাল, অ্যান্ডি রবার্টস, জোয়েল গার্নার, মাইকেল হোল্ডিংয়ের মতো মহাতরাকারা। অন্যদিকে কপিলের নেতৃত্বাধীন আন্ডারডগ ভারত।
ফাইনালের প্রথমার্ধটাও ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের দখলে। টস জিতে ভারতকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৫৪.৪ ওভারে (৬০ ওভারের ম্যাচ ছিল) ভারত অল-আউট হয়ে যায় মাত্র ১৮৩ রানে। সর্বোচ্চ ৩৮ রান কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্তের। এছাড়া অমরনাথ ২৬, সন্দীপ পাতিল ২৭, মদন লাল ১৭, কপিল দেব ১৫, যশপাল শর্মা ১১, কিরমানি ১৪ ও বলবিন্দর সাঁধু ১১ রানের যোদগান রাখেন। গাভাসকর ২ রান করে আউট হন।
জবাবে ব্যাট করতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিবিরে ধস নামান মদন লাল ও অমরনাথ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫২ ওভারে অল-আউট হয়ে যায় ১৪০ রানে। রিচার্ডস ৩৩ রান করেও শেষ রক্ষা করতে পারেননি। মদন লাল ও অমরনাথ ৩টি করে উইকেট নেন। ২টি উইকেট সাঁধুর। ১টি করে উইকেট দখল করেন কপিল দেব ও রজার বিনি।
৪৩ রানে ম্যাচ জিতে প্রথমবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। সেই সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেটের পরবর্তী বিশাল ইমারতের শক্ত ভিত গড়ে দিয়ে যান কপিলরা। ফাইনালের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন অমরনাথ।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।