ছবিটা মনে আছে। ১৯৬০ সালের ঐতিহাসিক রোম অলিম্পিক্সের। যেখানে ৪০০ মিটার দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন ভারতের মিলখা সিং। মাত্র ০.১ সেকেন্ডের জন্য অলিম্পিকের পোডিয়ামে উঠতে পারেননি মিলখা সিং। সেই অমরগাঁখা ভারতীয় তো বটেই বিশ্বের ইতিহাসে চিরসবুজ হয়ে রয়েছে। দৌড়ের শেষ মুহূর্তে কিছুটা ভুল সিদ্ধান্তে গতি কমিয়ে দিয়েছিলেন উড়ন্ত শিখ। তাতেই বেরিয়ে যান দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যালকম স্পেনস। শেষপর্যন্ত ফোটো ফিনিশে ০.১ সেকেন্ডের ব্যবধানে ব্রোঞ্জ হাতছাড়া হয় মিলখা সিংয়ের।
মিলখা সিংকে পিছনে ফেলে সেই দৌড়ে সোনা জেতার পাশাপাশি বিশ্ব রেকর্ড গড়েছিলেন আমেরিকার ওটিস ডেভিস। এখন তাঁর বয়স ৮৮। তিনি বর্তমানে থাকেন নিউ জার্সিতে। তাঁর এখনও সেই দৃশ্য মনে রয়েছে। সঙ্গে মনে রয়েছেন মিলখা সিংকে। একটা সময় তাঁকে ভাবতে বাধ্য করেছিলেন মিলখা সিং। উড়ন্ত পাখিকে নিয়ে কিছুক্ষণের জন্য হলেও ভয় পেয়েছিলেন ওটিস ডেভিস। সেদিনের সোনা জয়ী অ্যাথলিট আজও মিলখা সিং-এর কথা গুলো মনে করেন, যেগুলো সেদিন মিলখা সিং ওটিস ডেভিসকে বলেছিলেন।
মিলখা সিং-এর কথা বলতে গিয়ে ওটিস ডেভিস জানান, ‘ওহ সেই মানুষটা, সে খুব দ্রুত ছিল!’ এভাবেই এক কিংবদন্তি অন্য কিংবদন্তিকে মনে রেখেছেন। ওটিস আরও জানান, ‘মিলখা খুব ভাল দৌড়বীদ ছিলেন, খুব দ্রত রানার ছিলেন। সে যখন ফাইনালে উঠেছিল তখন আমি তাঁকে নিয়ে খুব চিন্তায় ছিলাম। কারণ তিনি এই প্রতিযোগিতায় অন্যতম পছন্দের অ্যাথলিট হিসাবে এসেছিলেন।’
মিলখা সিং নিয়ে বলতে গিয়ে ওটিস আরও জানান, ‘আমি প্রতিযোগিতায় নামার আগে একবারই দেখেছিলাম। যখন সে অনুশীলন করছিল। এবং তিনি সেই সময় ৪৭ সেকেন্ডে নিজের দৌড় শেষ করেছিলেন। একজন স্পোর্টস রাইটার তাঁকে দেখে বলেছিলেন, ‘ছেলে, ওর কিন্তু গতি রয়েছে! সে ৪৭ সেকেন্ডে দৌড়াল!’ আমি সবটা শুনেছিলাম। কিন্তু আমি নিজেকে বলেছিলাম আমায় হারানোর জন্য তাঁকে আরও দ্রুত দৌড়াতে হবে।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।