প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার ৩৯১ রানের জবাবে আব্দুলাহ শফিক ও আজহার আলির ব্যাটে ভর করে বড় রানের দিকেই এগোচ্ছিল পাকিস্তান। তবে ম্যাচের তৃতীয় সেশনে কামিন্স-স্টার্ক ঝড়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল পাকিস্তানের মিডল অর্ডার। মাত্র ২০ রানে সাত উইকেট হারিয়ে অজিদের থেকে ১২৩ রান কম, ২৬৮তেই থেমে গেলেন বাবর আজমরা।
দুর্ধর্ষ ফর্মে থাকা শফিককে ৮১ রানে আউট করে ন্যাথন লিয় দিনের প্রথম উইকেটটি নেন। এরপর এক অসামান্য ক্যাচ ধরে নিজের ২০তম শতরানের দিকে অগ্রসর আজহারকে ৭৮ রানে ফেরান প্যাট। মাঠে উপস্থিত আজহারের পরিবারের তখন কার্যত বাকরুদ্ধ। আজহারের উইকেটের গুরুত্ব বুঝে, ক্যাচ নিয়ে উদ্দাম সেলিব্রেশনে মাতেন কামিন্স। বাবর আজমও ৬৭ রানের সুন্দর একটা ইনিংস খেলে মিচেল স্টার্কের বলে আউট হন। তবে এরপরেই নামে পাকিস্তানের ব্যাটিং ধ্বস।
ফাওয়াদ আলামের ১৩ রান পর, পাকিস্তানের শেষ পাকিস্তানের শেষ ছয় ব্যাটারের মোট সংগ্রহ সাত রান। কামিন্স-স্টার্কের আগুনে গতি ও রিভার্স সুইংয়ে পাকিস্তান ব্যাটাররা এসেছেন আর গিয়েছেন। শেষ তিন ব্যাটারের কেউ তো খাতাই খুলতে পারেননি। পরিণামে ২০ রানে সাত উইকেট হারিয়ে ২৬৮ রানেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। কামিন্স নেন পাঁচ উইকেট, স্টার্ক চার। দুই তারকা বোলারের সুবাদেই ম্যাচ তথা সিরিজ জয়ের স্বপ্ন দেখছে অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় দিনের শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে অজিদের স্কোর শূন্য উইকেটের বিনিময়ে ১১। মোট ১৩৪ রানে এগিয়ে রয়েছে অজিরা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।