টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ঠিক আগেই লজ্জায় ডুবে গেল বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশকে নিয়ে যে টি-টোয়েন্টি ত্রিদেশীয় সিরিজ চলছে, তাতে একটি ম্যাচও জিততে পারেননি শাকিব আল হাসানরা। স্বাভাবিক ভাবেই একেবারে শূন্য হাতে লজ্জাজনক ভাবে সিরিজ থেকে ছিটকে গেল বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের কাছে ৭ উইকেটে নাস্তানাবুদ হলেন শাকিবরা।
বাংলাদেশ যে এ দিন লড়াই করেনি, তা নয়। ব্যাট হাতে লড়াই করেছিলেন শাকিব, লিটন দাস। কিন্তু তাদের সব লড়াই ব্যর্থ করে দিয়ে ফের জ্বলে উঠল বাবর আজম-মহম্মদ রিজওয়ান জুটি। সঙ্গে মহম্মদ নওয়াজের ঝড়। যার নিটফল ১৭৪ রান তাড়া করতে নেমে ১ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ পকেটে পুড়ে ফেলল পাক ব্রিগেড। এই নিয়ে পাকিস্তান ৪ ম্যাচের মধ্যে তিনটিতে জয় ছিনিয়ে নিল। আর বাংলাদেশ ৪টি ম্যাচই হেরে বসে থাকল। পাকিস্তান এবং নিউজিল্যান্ড একে অপরকে এক বার করে হারিয়েছে।
আরও পড়ুন: দীপ্তিদের দাপটে ঝলসে গেল থাইল্যান্ড, ৭৪রানে বড় জয়, ফাইনালে ভারত
টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৭৩ করে বাংলাদেশ। তাদের দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত (১৫ বলে ১২ রান) এবং সৌম্য সরকার (৪ বলে ৪ রান) ব্যর্থ হলেও হাল ধরেছিলেন লিটন। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করেন শাকিব। লিটনের সংগ্রহ ৪২ বলে ৬৯ রান। আর শাকিব করেন ৪২ বলে ৬৮ রান। এই দুই তারকা ছাড়া বাকিদের অবস্থা তথৈবচ। নাজমুলের রান তৃতীয় সর্বোচ্চ ১২। এর থেকেই প্রমাণিত বাংলাদেশের বাকিদের ব্যাটারদের দৈন্যদশা।
পাকিস্তানের নাসিম শাহ এবং মহম্মদ ওয়াসিম ২টি করে উইকেট নিয়েছেন। ১ উইকেট নিয়েছেন মহম্মদ নওয়াজ।
আরও পড়ুন: সর্বোচ্চ T20 খেলার নজির- কিউয়ি তারকাকে ছুঁলেন হরমনপ্রীত
রান তাড়া করতে নামলে বাবর-রিজওয়ানের ওপেনিং জুটিই ১০০ পার করিয়ে দেয় পাকিস্তানকে। ৪০ বলে ৫৫ করেন বাবর। ৫৬ বলে ৬৯ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন রিজওয়ান। এর পর বাকি কাজটা করেন মহম্মদ নওয়াজ। তিনি ২০ বলে ৪৫ করে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। ১৯.৫ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান করে ১৭৭ রান। ২০তম ওভারে পঞ্চম বলে চার মেরে জয় ছিনিয়ে নেন নওয়াজই।
বাংলাদেশের হাসান মাহমুদ ২ উইকেট নিয়েছেন। ১ উইকেট নিয়েছেন সৌম্য সরকার।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।