সময় বদলেছে, বদলায়নি শুধু রাওয়ালপিন্ডির বাইশগজ। ভুল থেকে শিক্ষা নেয়নি পাকিস্তানের এই টেস্ট কেন্দ্র। গত মার্চে এই পিচেই পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া টেস্টে প্রায় ১২০০ রান ওঠে। পাঁচ দিনে উইকেট পড়ে মাত্র ১৪টি। এবার সম্ভবত সেই রেকর্ডকেও ছাপিয়ে যেতে চলেছে পাকিস্তান-ইংল্যান্ড টেস্ট। কেননা ইংল্যান্ড প্রথম দিনেই তুলে ফেলে ৫০০ রান। পাকিস্তানও বড় রানের পথে এগচ্ছে।
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে যেভাবে ইংল্যান্ড ও পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা রাজত্ব চালাচ্ছেন, তাতে এমন মরা পিচের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিস্তর। আইসিসি আগেই এই স্টেডিয়ামের টেস্ট পিচের মান নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিল। এবার পাক ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান রামিজ রাজার মুখেও পিচ নিয়ে শোনা গেল হতাশাজনক কথাবার্তা।
পিসিবি চেয়ারম্যান রাওয়ালপিন্ডির বাইশগজকে ‘অন্ধকার যুগের পিচ’ বলে কটাক্ষ করেন। তিনি স্বীকার করে নেন যে, দেশের ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান যখন একজন ক্রিকেটার, তার পরে এমন পিচে খেলা দেখা দুর্ভাগ্যের।
রামিজ বলেন, ‘পাকিস্তানে ক্রিকেট পিচের অন্ধকার যুগে আমরা বাস করছি। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত অস্বস্তির। বিশেষ করে ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান নিজে যখন একজন ক্রিকেটার।’
পিসিবি চেয়ারম্যান পরক্ষণেই কটাক্ষ করে বলেন, ‘মরা পিচে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের সেরা নমুনা দেখা গেল। একমাত্র তথনই পাকিস্তান ৫ মিনিটের স্পেলে ৩০ রান খরচ করেনি, যখন ডিআরএস নেওয়া হয়েছে। টেস্টের প্রথম দিনে ইংল্যান্ডের মতো এমন ব্যাটিং আমি আগে কখনও দেখিনি।’
রামিজ রাজার ইঙ্গিত, যেখানে স্পিনার-পেসার কেউ সাহায্য পায় না, এমন পিচের থেকে ড্রপ-ইন পিচ অনেক ভালো। অন্তত সেখানে বল ঘোরানো যায় প্রথম ওভার থেকেই।'