দেড়শোর উপর রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে যান আব্দুল্লাহ শাফিক। পাকিস্তানকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি। কিন্তু সেটা বড় কথা নয়। বড় কথা হল, ওপেন করতে নেমে ক্রিজ আকড়ে পড়ে থেকে চারশোর বেশি বল খেলে ফেলেছেন তিনি। ৬ উইকেট পড়ে গেলেও, ওপেন করতে নেমে অপরাজিত থাকেন আব্দুল্লাহ শাফিক। তাঁর হাত ধরেই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে পাকিস্তানের জয়ের পথ প্রশস্ত হয়।
আর ওপেন করতে নেমে অপরাজিত থেকে টেস্ট জিতিয়ে গর্ডন গ্রিনিজের মাইলস্টোন স্পর্শ করে ফেললেন শাফিক। ১৯৮৪ সালে গর্ডন গ্রিনিজ লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওপেন করতে নেমে অপরাজিত ২১৪ রান করেছিলেন। এবং ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন। বুধবার গ্রিনিজের পর দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে সেই নজিরই স্পর্শ করলেন শাফিক।
আরও পড়ুন: লিড পেয়েও হারল লঙ্কা, গলে তিনশোর বেশি রান তাড়া করে রেকর্ড জয় বাবরদের
কাকতালীয় হলেও, ৩৮ বছর আগেও ইংল্যান্ড ৩৪২ রানের লক্ষ্যই দিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। সেই রান তাড়া করতে নেমে ক্যারিবিয়ানদের ম্যাচ জেতান গ্রিনিজ। গল টেস্টে শ্রীলঙ্কাও ৩৪২ রানের লক্ষ্যই পাকিস্তানের সামনে রেখেছিল। অপরাজিত ১৬০ রান করে ম্যাচ জেতান শাফিক।
আরও পড়ুন: ৪০০-র বেশি বল খেলে নজির গড়লেন শাফিক, মজবুত করলেন পাকিস্তানের জয়ের পথ
একই সঙ্গে শাফিক ৪০০-র বেশি বল খেলে গড়ে ফেলেছেন নজিরও। তিনি ৪০৮ বল খেলে ১৬০ করে অপরাজিত থাকেন। পাকিস্তানের দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে চতুর্থ ইনিংসে ৪০০ বা তার বেশি বল খেলার নজির গড়ে ফেললেন তিনি। এর আগে বাবর আজম পাকিস্তানের প্রথম প্লেয়ার হিসেবে চতুর্থ ইনিংসে ৪০০ বা তার বেশি বল খেলার নজির গড়েছিলেন। সেই মাইলস্টোনই স্পর্শ করলেন শাফিক। আর বিশ্ব ক্রিকেটে তিনি পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে এই নজির গড়লেন।
প্রথমে ব্যাট করে শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংসে ২২২ রান করেছিল। জবাবে পাকিস্তান ২১৮ রানে অল আউট হয়ে যায়। ৪ রানের লিড নিয়ে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা করে ৩৩৭ রান। ৩৪২ রান তাড়া করতে নেমে ৪ উইকেটে ম্যাচ পকেটে পুড়ে ফেলে পাকিস্তান।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।