চলতি এশিয়া কাপে মোটেও পরিচিত ফর্মে নেই বাবর আজম। টুর্নামেন্টের প্রথম ৪টি ম্যাচে ব্যাট হাতে ডাহা ফেল পাক দলনায়ক। পঞ্চম ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে প্রথমবার ৩০ রানের গণ্ডি ছুঁতে সক্ষম হন বাবর। যদিও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সুপার ফোরের ম্যাচে তাঁর ব্যাটিং মোটেও দৃষ্টিনন্দন ছিল না। অন্তত ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত বলে এমন ইনিংসকে মোটেও বিবেচনা করা যাবে না।
শুক্রবার দুবাইয়ে নিয়মরক্ষার ম্যাচে পাকিস্তানের হয়ে সব থেকে বেশি ৩০ রান করেন বাবর। তবে খরচ করেন ২৯টি বল। মোটে ২টি চার মারেন তিনি। বাবরকে একবারের জন্যও আত্মবিশ্বাসী দেখায়নি।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, দলের পারফর্ম্যান্সে প্রভাব রাখার নিরিখে সুপার ফোরের চার দলের ক্যাপ্টেনের মধ্যে বাবরের ব্যক্তিগত পারফর্ম্যান্স সব থেকে খারাপ বলা চলে। অন্তত যে রকম পারফর্ম্যান্স আশা করা হয় বাবরের কাছ থেকে, পাক অধিনায়ক সেই প্রত্যাশা পূরণে পুরোপুরি ব্যর্থ।
আরও পড়ুন:- PAK vs SL Super 4: চওড়া কপাল ফখর জামানের, ‘বোল্ড’ হয়েও বাঁচলেন ভাগ্যের জোরে, ভিডিয়ো
আফগান দলনায়ক মহম্মদ নবি ব্যাট হাতে রান পাননি বটে, তবে বল হাতে ৩টি উইকেট তুলেছেন। বাবর সেখানে ৫টি ইনিংসে সাকুল্যে ৬৩ রান সংগ্রহ করেন। তাঁর ব্যক্তিগত ইনিংসগুলি যথাক্রমে ১০, ৯, ১৪, ০ ও ৩০ রানের।
সেদিক থেকে দেখতে গেল শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক দাসুন শানাকার পারফর্ম্যান্স টুর্নামেন্টের ৬ ক্যাপ্টেনের মধ্যে সব থেকে ভালো বলা চলে। ফাইনালের আগে পর্যন্ত চলতি এশিয়া কাপে ৬ দলের ক্যাপ্টেনের সার্বিক পারফর্ম্যান্সে চোখ রাখা যাক।
মহম্মদ নবি (আফগানিস্তান):-
ব্যাটিং: ৫ ম্যাচের ৪টি ইনিংসে ১৬ রান।
বোলিং: ৫ টি ইনিংসে ৩টি উইকেট।
শাকিব আল হাসান (বাংলাদেশ):-
ব্যাটিং: ২ ম্যাচের ২টি ইনিংসে ৩৫ রান।
বোলিং: ২টি ইনিংসে ১টি উইকেট।
নিজাকত খান (হংকং):-
ব্যাটিং: ২ ম্যাচে ২টি ইনিংসে ১৯ রান।
বোলিং: বল করেননি।
রোহিত শর্মা (ভারত):-
ব্যাটিং: ৪ ম্যাচের ৪টি ইনিংসে ১৩৩ রান।
বোলিং: বল করেননি।
বাবর আজম (পাকিস্তান):-
ব্যাটিং: ৫ ম্যাচের ৫টি ইনিংসে ৬৩ রান।
বোলিং: বল করেননি।
দাসুন শানাকা (শ্রীলঙ্কা):-
ব্যাটিং: ৫ ম্যাচের ৫টি ইনিংসে ১০৯ রান।
বোলিং: ২টি ইনিংসে ২টি উইকেট।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।