বাংলা নিউজ > ময়দান > বিশ্বের সেরা ওপেনিং জুটি বাবর-রিজওয়ান, স্ট্রাইকরেট ঠিক করে নেবে-প্রধান পাক নির্বাচক

বিশ্বের সেরা ওপেনিং জুটি বাবর-রিজওয়ান, স্ট্রাইকরেট ঠিক করে নেবে-প্রধান পাক নির্বাচক

মহম্মদ রিজওয়ান এবং বাবর আজম।

পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচক মহম্মদ ওয়াসিম কিন্তু ওপেনার হিসেবে বাবর আজম এবং মহম্মদ রিজওয়ানকেই ভোট দিয়েছেন। এমন কী তিনি,আগামী মাসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য একজন ব্যাক-আপ ওপেনারের কথাও ভাবছেন না। বরং তিনি পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, এই জুটি ভাঙার কোনও পরিকল্পনাই তাঁদের নেই।

পাকিস্তানের ওপেনিং জুটি বাবর আজম এবং মহম্মদ রিজওয়ানকে নিয়ে তীব্র সমালোচনা চলছে। এশিয়া কাপে এই ওপেনিং জুটি হতাশ করেছে। তবে পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচক মহম্মদ ওয়াসিম কিন্তু ওপেনার হিসেবে বাবর আজম এবং মহম্মদ রিজওয়ানকেই ভোট দিচ্ছেন। এমন কী তিনি,আগামী মাসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য একজন ব্যাক-আপ ওপেনারের কথাও ভাবছেন না। বরং তিনি পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, এই জুটি ভাঙার কোনও পরিকল্পনাই তাঁদের নেই।

তিনি বলেছেন, ‘দু’জনেই আমাদের যথেষ্ট সাফল্য এনে দিয়েছে। আপনি বিশ্ব ক্রিকেটের সেরা ওপেনিং জুটি ভাঙার কথা বলছেন। ওরা আমাদের সবচেয়ে শক্তিশালী পয়েন্ট এবং পরিসংখ্যান বলছে যে, ওরা দুর্দান্ত ধারাবাহিকতার সঙ্গে রান করেছে। আমি ওদের স্ট্রাইকরেট সম্পর্কে বিতর্ক চলছে। তবে এতে নিঃসন্দেহে উন্নতি করবে ওরা।’

আরও পড়ুন: ভারতকে টপকে যাওয়া স্বপ্ন ভঙ্গ, T20 Ranking-এ পতন হল পাকিস্তানের, উপরে উঠল লঙ্কা

বাবর এবং রিজওয়ানকে ঘিরে বেশির ভাগ সমালোচনাই হচ্ছে, ব্যাট হাতে তাঁদের রক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে। দুই তারকাই হাল ধরার চেষ্টা করেন। পাশাপাশি ধারাবাহিক ভাবেই খেলার চেষ্টা করে থাকেন। এবং তাঁরা বেশির ভাগ সময়েই ইনিংসের গভীরে ব্যাট করার প্রবণতা রাখে। কিন্তু তাঁদের কম স্ট্রাইক রেট, বিশেষ করে প্রথম দশ ওভারে, মিডল অর্ডারকে চাপে ফেলছে। এবং উদ্বেগের জায়গা হয়ে দাঁড়াচ্ছে এই বিষয়টি। কারণ পাকিস্তান বড় স্কোর করে উঠতে পারছে না। বা বড় স্কোর তাড়া করতে ব্যর্থ হচ্ছে।

আরও পড়ুন: একটা সময় অধিনায়ক না হতে বলেছিলেন, এখন সেই বাবরকেই চান পাক প্রাক্তনী

২০২০ সালের শুরু থেকে, টি-টোয়েন্টিতে বাবর এবং রিজওয়ানের পাওয়ারপ্লে স্ট্রাইক রেট যথাক্রমে ১১৫.৬৮ এবং ১১৫.৯৮। এবং পাকিস্তানের শীর্ষ তিন ব্যাটার ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে যে কোন দলের মুখোমুখি হয়ে সব বলের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ খেলেছে, যা সমস্ত টি-টোয়েন্টি দলের মধ্যে সর্বোচ্চ। পাকিস্তানের বড় নেগটিভ পয়েন্ট যেটা, সেটা হল বল খেলার অনুপাতে রান হচ্ছে না। বেশি সংখ্যক বল তারা ছেড়ে দিচ্ছে। রান না করে। যেটা সমালোচনার বড় কারণ হয়ে উঠেছে।

তবে ওয়াসিম দাবি করেছেন, ‘আমরা শেষ ১৩টি-টোয়েন্টির মধ্যে ন'টি জিতেছি। এর মধ্যে বহু বড় দলকে পরাজিত করেছি। কয়েকটি ম্যাচে খারাপ খেলার ভিত্তিতে কাউকে বাদ দেওয়া অন্যায় হবে। এই ছেলেদের সম্পর্কে আমার কোন সন্দেহ নেই, প্রায় সবাই ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা রাখে। গত বিশ্বকাপের পর থেকে, আমরা পরিস্থিতি বিবেচনা করেছি এবং সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করেছি। এই পুরো স্কোয়াডটি আমাদের শক্তি এবং আমি আশাবাদী যে, এই দলটি ভালো ফল করবে।’

রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।

বন্ধ করুন