পাকিস্তান পেল আরও এক ভয়ঙ্কর পেস বোলার! তরুণ পাক পেসারের বলে রক্তাক্ত আফগান ব্যাটার

পাকিস্তান সুপার লিগে আশ্চর্যজনক পারফরমেন্স করার পরে, ২০ বছর বয়সি ইহসানউল্লাহ তাঁর আন্তর্জাতিক অভিষেকের সুযোগ পেয়েছিলেন। শারজাতে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে তাঁর অভিষেক হয়েছিল। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে দল হেরে গেলেও প্রাণঘাতী বোলিং করেছিলেন ইহসানউল্লাহ।

পাকিস্তানকে বলা হয় ফাস্ট বোলারদের খনি। প্রথমে ইমরান খান তারপর ওয়াসিম আক্রম ও ওয়াকার ইউনিস এক সময় বিশ্বের বড় বড় ব্যাটারদের ভয় দেখিয়েছিলেন। এরপর আসেন শোয়েব আখতার। তারপরে মহম্মদ সামি, মহম্মদ আমির ও মহম্মদ আসিফের মতো বোলাররা বাইশ গজে ব্যাটসম্যানদের ভয় দেখিয়েছে। এই মুহূর্তে শাহিন আফ্রিদি, নাসিম শাহ, হ্যারিস রউফ এবং মহম্মদ হাসনাইনের মতো বোলাররা বিশ্ব ক্রিকেটে নিজেদের নাম তৈরি করছেন। এদের পেস ব্যাটসম্যানদের বেশ চাপে রেখেছে। এবার তাদের সেই তালিকায় যুক্ত হল নতুন আরও এক নাম। এই বোলারের নাম হল ইহসানউল্লাহ।

পাকিস্তান সুপার লিগে আশ্চর্যজনক পারফরমেন্স করার পরে, ২০ বছর বয়সি ইহসানউল্লাহ তাঁর আন্তর্জাতিক অভিষেকের সুযোগ পেয়েছিলেন। শারজাতে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে তাঁর অভিষেক হয়েছিল। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে দল হেরে গেলেও প্রাণঘাতী বোলিং করেছিলেন ইহসানউল্লাহ। তৃতীয় ম্যাচে তাঁর আরও বিপজ্জনক ফর্ম দেখতে পেল বিশ্ব ক্রিকেট। আফগানিস্তানের ব্য়াটিং ইনিংসের সময়ে ম্যাচের ১১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে রান আউট হন মহম্মদ নবি। এরপর ক্রিজে আসেন নাজিবুল্লাহ জাদরান। ইহসানউল্লাহ তাঁকে প্রথম বলটি করেন, যার গতি ছিল ঘণ্টায় ১৪৭.৫ কিমি। সেই বল নাজিবুল্লাহ-র ব্যাটের কানায় লেগে বল সোজা চোয়ালে আঘাত করে। পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক দ্রুত এসে নাজিবুল্লাহর হেলমেট খুলে দেন, তখন দেখা যায় ব্যাটারের গলা থেকে রক্ত ​​বের হচ্ছে।

আসলে বলের আঘাতে নাজিবুল্লাহর চোয়ালে রক্তক্ষরণ হতে থাকে। এরপরে অস্বস্তিতে তাকিয়ে ছিলেন নাজিবুল্লাহ। ছুটতে ছুটতে মাঠে পৌঁছান ফিজিও। ফিজিও চেক করার পর নাজিবুল্লাহ মাঠ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। তার পর ক্রিজে ব্যাট করতে নামেন করিম জানাত। প্রথম বলেই তাঁকে পেয়ে যান ইহসানউল্লাহ। তিন বলে তিন ব্যাটসম্যান হারানোর পর আফগানিস্তানের পরাজয় সিলমোহর পড়ে যায়। তিন ম্যাচের এই টি-টোয়েন্টি সিরিজে ইহসানউল্লাহ ১০.৫ ওভার বোলিং করেছেন। তিনি ৬ রানের ইকোনমি রেটে বল করে ৬ উইকেট শিকার করেছিলেন। সিরিজে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন তিনি। তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন ইহসানউল্লাহ। পাকিস্তান টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৮২ রান করেছিল। আফগানিস্তানের ইনিংস ১১৬ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল।