শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১১ রান দরকার ছিল পাকিস্তানের। ৯টি উইকেট পড়ে গিয়েছিল। ক্রিজে ছিলেন দলের ১০ ও ১১ নম্বর ব্যাটসম্যান। বোলিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন প্রতিপক্ষের সেরা পেসার, যিনি আফগানিস্তানের হয়ে নতুন বলে ইনিংস শুরু করেন এবং বাবর আজম, মহম্মদ নওয়াজ ও খুশদিল শাহর উইকেট তুলে নেন।
সুতরাং এশিয়া কাপের সুপার ফোরে পাকিস্তান বনাম আফগানিস্তান ম্যাচে শেষ ওভারের আগে পর্যন্ত আফগানদের পাল্লাই ভারি ছিল। শেষ ওভারে ফজলহক ফারুকির প্রথম ২টি ফুলটস বলে পরপর জোড়া ছক্কা হাঁকিয়ে পাকিস্তানকে কার্যত হারা ম্যাচে জয় এনে দেন নাসিম শাহ, যিনি আসলে একজন বিশেষজ্ঞ পেসার।
স্বাভাবিকভাবেই একজন বোলার ব্যাট হাতে এমন অসাধ্য সাধন করছেন, সেটা নিয়েই ধন্য ধন্য পড়ে যায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটমহলে। শেষ ওভারে নাসিমের ব্যাটিং নিয়ে এমন আলোচনা শুরু হয় যে, তিনি যে আসলে একজন পেসার, সেটাই চাপা পড়ে যায়। ম্যাচের শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে নাসিম নিতান্ত মজার ছলে ঠিক সেই কথাটাই মনে করিয়ে দেন সঞ্চালক রবি শাস্ত্রীকে।
ছক্কা মেরে ম্যাচ জেতানো প্রসঙ্গে নাসিম বলেন, ‘নিজের উপর বিশ্বাস ছিল। আমি জানতাম যে ছক্কা মারতে পারি। কেননা নেটে ব্যাটিং প্র্যাক্টিস করি এবং ছক্কাও মারি। এটাও জানতাম যে, আমাকে ইয়র্কার বল করার চেষ্টা করবে, সেকারণেই উপরের দিকে ফিল্ডিং রাখে। প্রস্তুতি ছিলাম, ঈশ্বরের কৃপায় ব্যাটে ঠিকঠাক বল লেগে যায়।’
ম্যাচে নাসিম দুর্দান্ত বোলিংও করেন। ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান খরচ করে ১টি উইকেট নেন তিনি। শাস্ত্রী বোলিংয়ের প্রসঙ্গ তুলতেই নাসিম বলে ওঠেন, ‘বোলিং তো ভালো করেছি। আসলে আপনারা সবাই হয়ত ভুলে গিয়েছেন যে, আমি আসলে একজন বোলার।’ এমন কথা বলে নাসিম নিজে তো হাসেনই, পাক তারকার কথা শুনে হো হো করে হেসে ওঠেন শাস্ত্রীও।