শুভব্রত মুখার্জি: ২০২০ টোকিয়ো অলিম্পিক গেমসে তাঁর হাত ধরেই প্রথম মেডেল জিতেছিল ভারত। তিনি নবীন তারকা ভারোত্তোলক মীরাবাই চানু। তাঁর হাত ধরে ভারতের পদক যাত্রা শুরু হয়েছিল টোকিওতে। আসন্ন প্যারিস অলিম্পিক গেমসে পদক জিতলেই প্রথম ভারতীয় মহিলা কুস্তিগীর হিসেবে দুটি গেমসে পরপর পদক জয়ের নজির গড়বেন তিনি। ২০২০ গেমসে রুপোজয়ী চানু জানিয়েছেন গোটা বছর তিনি কী ভাবে নিজেকে চোটমুক্ত রেখেছেন। পাশাপাশি নিজের খেলার টেকনিক্যাল দিকের কী ভাবে উন্নতি করেছেন তাও জানিয়েছেন সাইকে (স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে। পাশাপাশি ৪৯ কেজি বিভাগে তাঁকে যে কঠিন লড়াই লড়তে হবে, তাও জানিয়েছেন তিনি। পাতিয়ালার নেতাজি সুভাষ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ স্পোর্টসে এই মুহূর্তে প্রস্তুতি সারছেন তিনি। সেখানেই তিনি সাইকে একটি এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ছক্কা হাঁকিয়ে নিজের ১৪ বছর আগের রেকর্ড ছুঁলেন রোহিত, ICC T20 WC-এ গড়লেন বাউন্ডারি মারার নজিরও
চানু বলেছেন, ‘আমার শরীরের সমস্ত মাংসপেশিগুলো ম্যানেজ করা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমি টেকনিকে উন্নতি ঘটাচ্ছি, যাতে স্ন্যাচে আমি ৯০ কেজি ওজন তুলতে পারি।’ এই মুহূর্তে চানুর স্ন্যাচে ব্যক্তিগত সেরা ৮৮ কেজি। প্যারিস অলিম্পিক্স তাঁর তৃতীয় গেমস হতে চলেছে। ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিক গেমসে তাঁর অভিষেক হয়েছিল। চানুর দাবি, ‘এশিয়ান গেমসে আমি চোট পাই। তার পরে আমার প্রথম প্রতিযোগিতা ছিল বিশ্বকাপ। আমার মনে ভয় ছিল যে, হয়তো আমি ফের চোট পেয়ে যেতে পারি। কারণ আমি প্যারিসে যাওয়াটা নষ্ট করতে চাইনি। সেই কারণে চোটের ভয় ছিল আমার। আমার ক্ষেত্রে চোটের ম্যানেজমেন্ট এবং চাপমুক্ত থাকাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমাকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছিল চোটমুক্ত হতে। ভারোত্তোলকদের সঙ্গী হল চোট, ব্যথা। কেউ জানে না যে, আমরা কখন চোটে পেতে পারি। আমাকে এটা জয় করতে হবে। প্যারিস অলিম্পিক্স বুঝিয়ে দেবে যে, আমি আমার চোটের কত ভালো যত্ন নিয়েছি।’
আরও পড়ুন: স্টার্ককে পিটিয়ে ছাতু করে এক ওভারে ২৯ রান নিলেন রোহিত, লজ্জার তালিকায় নাম উঠল তারকা অজি পেসারের
জুলাইয়ের গোড়াতে মীরাবাই তাঁর দলকে নিয়ে ফ্রান্সের লা-ফার্তে-মিলানে যাবেন। প্যারিসের আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চানু বলেছেন, ‘ওয়েট লিফটিং হল বিভিন্ন অঙ্গের কাজের যোগ ফল। প্রত্যেক বডি পার্টের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। জিমে সেই কারণে প্রচুর অনুশীলন করতে হয়। পিঠ, হাঁটু এবং কাঁধের মাংসপেশি খুব গুরুত্বপূর্ণ। এইগুলোকে সঠিক পরিচর্যা খুব গুরুত্বপূর্ণ। মাংসপেশির শক্তি ওজন তুলতে খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে ২০০ কেজি ওজন তোলা। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হল আমি কোনও দিন কোন অনুশীলনকে বাদ দিতে পারি না। আমি যদি একদিনও ট্রেনিং বাদ দিই, তাহলে আমার এক সপ্তাহ লাগে রিকোভার করতে। আমার মাসলগুলোকে আগের জায়গায় আনতে সময় লাগে। মাসেলে শক্তি না থাকলে, সহ্য করতে না পারলে ওজন তোলা যাবে না। এটা একটা কঠিন পদ্ধতি। ফলে রিল্যাক্স করার কোনও জায়গা নেই। একটা কথা বলতে পারি যে, স্ন্যাচে ৮৫ কেজি ওজন তুলতে ৫০ কেজি করে অন্ততপক্ষে ১০০ বার তুলতে হবে। তারপর ধীরে ধীরে ওজন তোলা বাড়াতে হবে। যে কোনও ভারোত্তোলকের পক্ষে পরপর দু'টি অলিম্পিক গেমসে অংশ নেওয়া খুব বড় একটা বিষয়। বিশ্ব পর্যায়ে লড়াইটা আরও কঠিন। টোকিওর মতন এখানেও আমার ভারতীয়দের প্রার্থনা দরকার।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।