ভারতে আসার আগে ‘সাহসী’ কামিন্স, সচিন ও কোহলির মধ্যে কাকে এগিয়ে রাখলেন?

কে সেরা ক্রিকেটার, সচিন না বিরাট? উসমান খোয়াজা প্রশ্ন ছুড়ে দেন প্যাট কামিন্সকে। উত্তরে কামিন্স বিরাটকে এগিয়ে রাখলেন। পাল্টা খোয়াজাকে প্রশ্ন করেন কামিন্স। উত্তরে দ্রাবিড়, সৌরভকে এগিয়ে রাখলেন খোয়াজা।

বিরাট কোহলি ও সচিন তেন্ডুলকর (ছবি-গেটি ইমেজ)

সম্প্রতি প্রাইম ভিডিয়োর দ্য টেস্টের একটি টিজার পর্বের সময় ইউটিউবে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ও ব্যাটার উসমান খোয়াজার একটি আলোচনার সময় ভারতীয় কিংবদন্তি ক্রিকেটারের নাম উঠে আসে। 

সেখানে খোয়াজা কামিন্সের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, ‘বিরাট কোহলি না সচিন তেন্ডুলকর, কাকে সেরা হিসেবে বেছে নেবে তুমি?’ প্রশ্ন শুনে কামিন্স প্রথমে ব্যঙ্গের সুরে বলেন, ‘কীসের? রান্না?’ তারপরে উত্তর দেন, ‘আমি সচিনের বিরুদ্ধে মাত্র একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছি। তাই আমি বিরাটকেই বেছে নেব।’ প্রসঙ্গত, কামিন্সের কেরিয়ার যখন শুরু হয়, তখন সচিন তাঁর ক্রিকেট জীবনের শেষ ম্যাচগুলি খেলছিলেন।

এরপরে কথোপকথনের সময় উসমানকে ভারতের ফেভারিট চার খেলোয়াড়ের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক। উত্তরে খোয়াজা বলেন, ‘আমি সচিনকে সবার প্রথমে রাখব। তাকে ছাড়া প্রথমে দ্রাবিড়, দ্বিতীয় স্থানে রাখব সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে এবং তিন নম্বরে ভিভিএস লক্ষণকে। লক্ষণের ব্যাটিং আমার খুব ভালো লাগে। কিন্তু আমার কাছে বাঁ-হাতিরা আগে আসবে।’

এই বছরের শেষের দিকে ভারতের মাটিতে বসতে চলেছে ওডিআই ক্রিকেট বিশ্বকাপের আসর। অন্যান্য দলের মতো ভারতীয় দল ও বোর্ড বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। বিরাট তাঁর রানের খরা কাটিয়ে ফের ফর্মে ফিরে এসেছেন। সম্প্রতি তাঁর খেলা ছয়টি একদিনের ইনিংসের মধ্যে তিনটিতে করেছেন শতরান।

শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম ওয়ানডেতে, প্রাক্তন অধিনায়ক ৮৭ বলে ১১৩ রান করেন। ইনিংস সাজিয়েছিলেন ১২টি বাউন্ডারি এবং ১ ওভার বাউন্ডারির মাধ্যমে। ভারত ৫০ ওভারে সাত উইকেটে ৩৭৪ রানের টার্গেট দিয়েছিল শ্রীলঙ্কাকে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৬৭ রানে হেরে যায় শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে সাময়িক বিরতি নিয়ে তৃতীয় ম্যাচে ফের জ্বলে ওঠেন তিনি। ১১০ বলে ১৬৬ রানে অপরাজিত থাকেন। মারেন ১৩টি চার ও ৮টি ছয়। ভারত করে ৩৯০ রান। লক্ষ্যমাত্রা পূর্ণ করতে নেমে মাত্র ৭৩ রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কার ইনিংস। বিশ্ব রেকর্ড গড়ে ভারত। ভারতের মহম্মদ সিরাজ সেই ম্যাচে ৪ উইকেট নেন।