বায়ো-বাবলে করোনা ভাইরাস ঢুকে পড়ায় মাঝপথেই স্থগিত হয়ে গিয়েছে পাকিস্তান সুপার লিগের ষষ্ঠ আসর। সাত জন করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর পিসিবি বাধ্য হয়েই টুর্নামেন্ট বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। যদিও অপরিকল্পিতভাবে টুর্নামেন্ট আয়োজন ও অসহায়ের মতো তা স্থগিত করতে হওয়ায় পিএসএল নিয়ে পাকিস্তানের মুখ পুড়েছে বলে মন করছেন প্রাক্তন পাক তারকা শোয়েব আখতার।
প্রাক্তন পেসার এতটাই ক্ষুব্ধ যে, তিনি গোটা ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। তিনি আদালত ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের মানুষের জীবন নিয়ে ও দেশের সম্মান নিয়ে খেলা করার চেষ্টাকে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করার এবং দোষিদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার।
আখতারের দাবি, পাকিস্তান সুপার লিগ স্থগিত হওয়ার জন্য মূলত দায়ি বোর্ডের অযোগ্য মেডিক্যাল টিম। হাতুড়ে ডাক্তারদের দিয়ে পাকিস্তান বোর্ড কাজ চালায় বলেও বিস্ফোরণ ঘটান শোয়েব। তিনি এমনও দাবি করেন যে, পিসিবির ডাক্তারদের কেউ হাসপাতালেও বসায় না। এমনকি তাঁরা নাকি ঠিকমতো প্রেসক্রিপশনও লিখতে পারেন না। এমন অযোগ্য লোকেদের বোর্ডে ধরে নিয়ে এসে পিসিবি চেয়ারম্যান এহসান মানি এখন নিজে লুকিয়ে রয়েছেন বলেও ক্ষোভ উগরে দেন রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে শোয়েব বলেন, ‘তোমরা (পিসিবি) মানুষের জীবন নিয়ে খেলা করেছ। সেই সঙ্গে দেশের সম্মান নিয়েও। পিসিবির চেয়ারম্যান এখন কোথায়? তাকে জবাব দিতে হবে। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং মহামান্য আদালতের কাছে আবেদন করছি বিষয়টির দিকে নজর দেওয়ার। এহসান মানি এখন কোথায়? সামনে এসে জবাব দিক। এটা পাকিস্তানের অপমান। প্রধানমন্ত্রীর কাছেও আবেদন, বিষয়টা দেখুন।’
আখতার আরও বলেন, ‘এখন দোষারোপের খেলা চলছে। যে লোকটা একার হাতে পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য ভালো কিছু করার চেষ্টা করছে, সেই ওয়াসিম খানকে সামনে রেখে সব দোষ দেওয়া হচ্ছে। তবে আসল দোষ তো মেডিক্যাল টিমের। কীভাবে বায়ো-বাবল তৈরি করতে হয়, পিসিবির ডাক্তাররা সেটা জানেই না। পিসিবির মেডিক্যাল টিমে অযোগ্য সব লোক রয়েছে। ওদের কেউ হাসপাতালেও বসায় না, তোমরা বোর্ডে বসিয়ে দিয়েছ। ওদের একজনও ঠিকমতো প্রেসক্রিপশন লিখতেও পারে না। ওদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’
শেষে পিসিবির গাফিলতির কথা তুলে ধরে শোয়েব বলেন, ‘পিসিবি কি দেখেনি সারা বিশ্বে কীভাবে বায়ো-বাবল তৈরি করে খেলা চলছে? একটা ২০০-২৫০ রুমের গোটা হোটেল বুক করা যেত না? একই হোটেলে বিয়েবাড়ির খাওয়া-দাওয়া চলেছে। সবাই চুল কাটছে। যে যখন খুশি যাওয়া-আসা করছে। যেমন খুশি ঘুরে বেড়াচ্ছে। বায়ো-বাবল ছেড়ে ড্যারেন স্যামি বেড়াতে চলে যাচ্ছে। তার পরেও পিসিবি তাকে বায়ো-বাবলে ঢুকতে দিচ্ছে। যত খুশি মডেল আসছে। ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর আসছে। ক্রিকেটারদের সঙ্গে ছবি তুলছে। পিসিবি ভেবেছিল তালেগোলে টুর্নামেন্ট শেষ করে দেবে। এবার বোঝো অবস্থা।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।