নিরাপত্তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এক বলও না খেলে সিরিজ বাতিল করে দেশে ফিরে যায় নিউজিল্যান্ড। এই ঘটনার পর ইংল্যান্ডও বাতিল করে দেয় পাকিস্তান সফর। আর এর পরই গুজব ছড়ায়, ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা নাকি জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকার ক্লান্তির জন্যই ইসিবি-কে এই সিরিজ বাতিল করার জন্য প্রভাবিত করেছেন। তবে পরের মাসে পাকিস্তান সফর বাতিল করার বিষয়ে কোনও ব্রিটিশ ক্রিকেটারদের কোনও হাত নেই বলে দাবি করেছে ইংল্যান্ড ক্রিকেটার্স ইউনিয়ান। এমন কী জানা গিয়েছে, এই সফর বাতিল করার বিষয়ে ক্রিকেটারদের সঙ্গে কোনও কথাই বলেনি ইসিবি।
টিম ইংল্যান্ড প্লেয়ার পার্টনারশিপ বা ‘টেপ’-এর এক কর্তা ডেইলি মেলকে জানিয়েছেন, ইসিবি এই সিরিজ বাতিল করার আগে ইংল্যান্ডের কোনও প্লেয়ারের সঙ্গেই কোনও রকম কথা বলেনি। পাশাপাশি পাকিস্তানে গিয়ে সিরিজ খেলার বিষয়ে ব্রিটিশ ক্রিকেটাররা আপত্তি জানিয়েছিলেন বলে যে অভিযোগ উঠেছে, সেটাও অস্বীকার করেছে টেপ। তারা দাবি করেছে, ‘ইসিবি কখনও-ই টিম ইংল্যান্ড প্লেয়ার পার্টনারশিপ বা পুরুষ এবং মহিলা দলের ক্রিকেটারদের কাছে জানতে চায়নি, এই সফরে যাওয়া উচিত হবে কিনা, বা খেলোয়াড়রা পাকিস্তান সফরে যেতে তৈরি কিনা। টিম ইংল্যান্ড প্লেয়ার পার্টনারশিপের তরফেও কখনও ইসিবিকে জানানো হয়নি, খেলোয়াড়রা এই সফরে যাবেন না বলে।’
ইসিবি পাকিস্তান সফর বাতিল করার পর রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়েছে পিসিবি। পাকিস্তান সমর্থকেরাও ক্ষোভ উগড়ে দেন। বিশেষ করে পিসিবি চেয়ারম্যান রমিজ রাজা নিজের বিরক্তি এবং ক্ষোভ চেপে রাখেননি। ইংল্যান্ড ক্রিকেটের খারাপ সময়ে পাকিস্তান তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু ইংল্যান্ডকে পাশে পায়নি পাকিস্তান। ক্ষুব্ধ রামিজ রাজা কিছু দিন আগে টুইটে তাই লিখেছিলেন, ‘ইংল্যান্ডের এই সিদ্ধান্তে আমি হতাশ। নিজেদের প্রতিশ্রুতি থেকে সরে এসেছে ওরা। এবং যখন আমাদের পাশে থাকার দরকার ছিল, তখন ওদের ক্রিকেট বোর্ড পাশে দাঁড়ায়নি। তবু আমরা লড়াই করব। পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ সময়, নিজেদেরকে বিশ্বের সেরা দল হিসেবে গড়ে তোলার জন্য। যাতে বিশ্বের বাকি দলগুলো পাকিস্তানের সঙ্গে খেলতে গিয়ে কোনও অজুহাত দিতে না পারে, যেন তারা খেলার জন্য মুখিয়ে থাকে।’