স্পেনের বিরুদ্ধে যে জয়টা অধরা ছিল, সেটাই যেন ইজরায়েলের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে সুদে-আসলে পুষিয়ে নিল পর্তুগাল। গোল পেলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোও। ইউরো কাপ শুরুর ঠিক আগে প্রস্তুতি ম্যাচেই বিধ্বংসী মেজাজে ধরা দিলেন ফার্নান্দো স্যান্তোসের ছেলেরা।
ম্যাচের শুরু থেকেই এ দিন ইজরায়েলকে বেশ চাপে রেখেছিল পর্তুগাল। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে একা উপরে রেখে মাঝমাঠে জোর দিয়েছিলেন স্যান্তোস। ৪-২-৩-১ স্ট্র্যাটেজিতেই এ দিন একেবারে বাজিমাত করে পর্তুগাল। উইং দিয়ে আক্রমণ, মাঝমাঠ থেকে খেলা তৈরি করে আক্রমণের ঝাঁজ বাড়ানো, পর্তুগীজদের দাপটে ইজরায়েল যেন একেবারে কোণঠাঁসা হয়ে পড়েছিল। বিরতির ঠিক আগেই দু'মিনিটের ব্যবধানে দু'টি গোল করে পর্তুগাল। ম্যাচের ৪২ এবং ৪৪ মিনিটে গোল দু'টি করেন যথাক্রমে ব্রুনো ফার্নান্ডেস এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। জাতীয় দলের জার্সিতে রোনাল্ডোর মোট গোলসংখ্যা হল ১০৪। দেশের হয়ে ১৪৯টি ম্যাচ খেলে ১০৯টি গোল রয়েছে ইরানের স্ট্রাইকার আলি দাইয়ের। আর পাঁচটি গোল করলেই আলি দাইকে ছুঁয়ে ফেলবেন সিআরসেভেন।
দু'গোলে পিছিয়ে পড়ায় আরও চাপে পড়ে যায় ইজরায়েল। এর পর তারা গোলের জন্য চেষ্টা করবে কী, ডিফেন্স সামলাতেই একেবারে হিমশিম দশা। ম্যাচের শেষের দিকে ৮৬ মিনিটে ফের ইউরায়েলের ডিফেন্স ভাঙে পর্তুগাল। ডিফেন্ডার জোয়াও ক্যানসেলো উপরে উঠে পর্তুগালকে ৩-০ এগিয়ে দেন। শুধু গোলই তিনি করেননি, এদিন গোল করিয়েওছেন। পর্তুগালের প্রথম গোল, যেটি ব্রুনো ফার্নান্ডেস করেছিলেন, সেটি হয় জোয়াও-এর নিখুঁত পাস থেকে। ইজরায়েল কফিনে শেষ পেরেকটি পোঁতেন ব্রুনো ফার্নান্ডেস। ইনজুরি টাইমে ৪-০ করে পর্তুগাল।
১৫ জুন হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে ইউরো অভিযান শুরু করবে পর্তুগাল। তার আগে এই জয় নিঃসন্দেহে বাড়তি মোটিভেশন হবে স্যান্তোসের দলের।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।