ছেলেদের বিভাগে নভেম্বরের আইসিসি প্লেয়ার অফ দ্য মনথ পুরস্কারের জন্য মনোনীত তিন ক্রিকেটারই খেতাব জয়ের জোরালো দাবিদার ছিলেন। কেননা গত টি-২০ বিশ্বকাপে ব্যক্তিগত পারফর্ম্যান্স দিয়ে নিজেদের দলকে নির্ভরতা দেন তিন তারকাই। তবে শেষমেশ আদিল রশিদ ও শাহিন আফ্রিদিকে পিছেন ফেলে পুরস্কার জিতে নেন জোস বাটলার।
ছেলেদের বিভাগে পাক পেসারের খেতাব হাতছাড়া হলেও মেয়েদের বিভাগে নভেম্বরের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন পাকিস্তানের সিদরা আমিন। তিনি লড়াইয়ে পিছেন ফেলে দেন থাইল্যান্ডের নাথাকান চানথাম ও আয়ারল্যান্ডের গ্যাবি লুইসকে।
নভেম্বরে ৪টি আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচে মাঠে নেমে বাটলার ২টি অর্ধশতরান-সহ ২০৭ রান সংগ্রহ করেন। ভারতের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের হাই-ভোল্টেজ সেমিফাইনালে তিনি ৮০ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেন।
সিদরা আমিন ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজে ২৭৭ রান সংগ্রহ করেন। লাহোরে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৫১ বলে ১৭৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে নট-আউট থাকেন পাক তারকা। দ্বিতীয় ম্যাচে তিনি ৯১ রান করে নট-আউট থেকে যান।
টি-২০ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের অন্যতম সেরা বোলার ছিলেন শাহিন আফ্রিদি। ১৪.০৯ গড়ে তিনি টুর্নামেন্টে দলের হয়ে যুগ্ম সর্বোচ্চ ১১টি উইকেট সংগ্রহ করেন। তাঁর ইকনমি রেটও ছিল ঈর্ষনীয়। ওভার প্রতি মোটে ৬.১৫ রান খরচ করেন শাহিন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মরণ-বাঁচন ম্যাচে আফ্রিদি ২২ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট দখল করেন এবং ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন। ফাইনালে মোক্ষম সময়ে আফ্রিদি চোট পেয়ে মাঠ না ছাড়লে ম্যাচের রং বদলে যেতে পারত বলে বিশ্বাস সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমী থেকে বিশেষজ্ঞদের অনেকেরই।