টোকিয়ো অলিম্পিক্সে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করা বাংলার অ্যাথলিটের সঙ্গেই এবার চক্রান্ত। সরাসরি জিমনাস্টিক ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে সংঘাতে জড়ালেন ভারতের আর্টিস্টিক জিমনাস্ট প্রণতি নায়েক। তাঁকে ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়ার্ল্ড চ্যালেঞ্জ কাপে খেলতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুললেন তিনি। পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে, তাই নিয়ে তার শিকার, দাবি করলেন বাংলার মেয়ে প্রণতি নায়েক।
অক্টোবরের ৪ থেকে ৬ তারিখ পর্যন্ত হাঙ্গেরিতে বসতে চলেছে জিমনাস্টিক্সের বিশ্বকাপ বা ওয়ার্ল্ড চ্যালেঞ্জ কাপের আসর। সেখানে ফেডারেশনের তরফে প্রাথমিকভাবে নামই পাঠানো হয়নি প্রণতি নায়েকের। এরপর লেট ফাইন বা লেট পার্টিসিপেশন ফি তিনি ফেডারেশনকে জমা দেন। প্রায় ১.২৫ লক্ষ্য টাকা তিনি ভারতীয় জিমনাস্ট ফেডারেশনকে দিয়েছেন, তবুও তাঁকে বিশ্বজয়ের সেই আসরে নামা হচ্ছে না তাঁর।
ভারতের এই জিমনাস্টকে হাঙ্গেরিতে পাঠানো না হলেও সেই টাকাও ফেরত দেওয়া হয়নি জিমনাস্টির ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে। তাঁরা এক অদ্ভূত যুক্তিতে প্রণতির টাকা আটকে রেখেছেন। তাঁদের নাকি দাবি, প্রণতির টাকা ফেডারেশনের কাছেই রয়েছে, ফলে টাকা লোপাট হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই। তাই সেই টাকা তাঁদের কাছেই থাকুক। এরপরই ক্রীড়ামন্ত্রককে চিঠি লিখেছেন দুবারের বিশ্বকাপে পদকজয়ী এই জিমনাস্ট। ২০২৪ সালে কাইরোতে হওয়া বিশ্বকাপে ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন তিনি। এরপর গোড়ালিতে চোটের জন্য তিনি কয়েক মাস বাইরে ছিলেন।
ক্রীড়ামন্ত্রককে লেখা নিজের চিঠিতে প্রণতি নায়েক অভিযোগ করেছেন, ‘আমার জ্ঞান অনুযায়ী বলতে পারি, এফআইজি ওয়ার্ল্ড চ্যালেঞ্জ কাপের জন্য কোনও ট্রায়াল করা হয়নি। নিজেদের মধ্যেই দল তৈরি করে নেওয়া হয়েছে। পুরুষদের বিভাগে যোগেশ্বর রানা এবং রাকেশ কুমার পাত্রকে সরাসরি বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে, অথচ তাঁরা সাম্প্রতিক সময় কোনও আন্তর্জাতিক ইভেন্টই জেতেনি। ২০১৪ সালের পর থেকে প্রতি বিশ্বকাপেই মহিলারা জিমনাস্টে পদক এনেছে, কিন্তু তাঁদের প্রাপ্য সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। এক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্ব করা হচ্ছে, এটা খেলার জন্য অত্যন্ত চিন্তার বিষয় ’।
সাই এবং ক্রীড়ামন্ত্রককে লেখা চিঠিতে প্রণতি আরও অভিযোগ করেছেন, ‘অগাস্ট মাস থেকেই তিনি এই প্রতিযোগিতায় খেলতে চেয়েছিলেন। এরপর অনেকবার মেল করার পর অবশেষে সেপ্টেম্বরের শুরুকে বলা হয়েছিল, আম যদি লেট ফি বাবদ ১.২৫ লক্ষ টাকা দি, তাহলে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে যেতে পারব। সেই মতো ৭ই সেপ্টেম্বর আমি টাকা পাঠিয়ে দি। কিন্তু এরপরেও ফেডারেশন থেকে কোনও কিছুই জানানো হয়নি। সেপ্টেম্বরের ২০ তারিখ পর্যন্ত আমায় আমন্ত্রণপত্র না পাঠানোয়, আমিও ভিসা অ্যাপ্লাই করতে পারিনি। ইচ্ছাকৃতভাবে ফাইন নেওয়ার জন্য আমার মেলের দেরিতে উত্তর দেওয়া হয়। যখন টাকা দিয়ে দিলাম, এরপরেও ইচ্ছাকৃতভাবেই যাতে আমি যেতে না পারি, তাই ভিসার আবেদন জানানোর সময় পেরিয়ে দেওয়া হয়। এটা স্পষ্ট যে পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে নিজেদের পছন্দের ক্রীড়াবিদদের পাঠানোর জন্য’।
প্রণতি আরও জানিয়েছেন, ‘আমি লেট ফির টাকা দিয়ে দিয়েছিলাম। ফেডারেশন কর্তারা নিজেদের দেরি করে রিপ্লাই দেওয়ার জন্য সরি বলেছিল। ১.২৫ লাখ টাকা পাঠানোর পরেও ওরা আমায় খেলতে যেতে দিল না। আমি অগাস্টের শুরুতেই ওদেরকে ফিটনেস সার্টিফিকেট পাঠিয়ে জানিয়েছিলাম, যে হাঙ্গেরিতে আমি খেলতে যেতে চাই। এখন ওরা আমার টাকাও ফেরত দিচ্ছে না’।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।