কাছাড় এক্সপ্রেস নামেই বেশি পরিচিত তিনি। গলি ক্রিকেটে টেনিস বল পিটিয়েই ক্রিকেট কেরিয়ার শুরু করেছিলেন প্রীতম দাস। সেখান থেকে কাছাড় তথা গোটা বরাক উপত্যকার প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে বিজয় হাজারে ট্রফিতে ৫০টি ম্যাচ খেললেন। শিলচরের রঞ্জি তারকা প্রীতম দাস ঐতিহাসিক সাফল্য অর্জন করলেন। বিজয় হাজারে ট্রফির এই মরশুমে গোয়ার বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল অসম। এটাই ছিল প্রীতমের ৫০তম ম্যাচ। তবে চলতি মরশুমে তাঁর পারফরম্যান্স যে একেবারেই গড়পড়তা ছিল, সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রীতম নিজেও সেকথা স্বীকার করেছেন। বললেন, 'চলতি মরশুমে আমি খুব একটা ভালো খেলতে পারিনি। এই দলের আমি একজন সিনিয়র ক্রিকেটার। একজন সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে আমার আরও ভালো পারফরম্যান্স করা উচিত ছিল।'
রাজ্য ক্রিকেটে প্রীতম যথেষ্ট পরিচিত একটা নাম। গতি এবং বাউন্সের দক্ষতায় হামেশাই তিনি বিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের পরাস্ত করে থাকেন। নিজের ফিটনেস নিয়েও যথেষ্ট সচেতন তিনি। বরাক উপত্যকার মতো একটা ছোটো জায়গা থেকে উঠে এসে রাজ্য ক্রিকেটে নিজের জায়গাটা ধরে রাখা যথেষ্ট কঠিন একটা কাজ। তবে প্রীতম সেটা বেশ ভালোভাবেই করে যাচ্ছেন। বর্তমানে তিনি রাজ্যের সিনিয়র ক্রিকেট দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। স্বভাবে তিনি একটু শান্ত এবং লাজুক প্রকৃতির হলেও অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন প্রীতম আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন, সাফল্যের কোনও শর্টকাট হয় না।
২০০৬-০৭ মরশুমে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক হয় প্রীতমের। ওড়িশার বিরুদ্ধে প্রথম রঞ্জি ম্যাচ খেলেছিলেন। সেই ম্যাচে পাঁচ উইকেট শিকার করেন প্রীতম। এখনও পর্যন্ত তিনি ১৬টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলে ২৯টি উইকেট শিকার করেছেন। পাশাপাশি তাঁর লিস্ট এ কেরিয়ারে ৫৪ ম্যাচে তিনি ৯১ উইকেট শিকার করেছেন। বিজয় হাজারে টুর্নামেন্টে প্রীতমের হ্যাটট্রিকও রয়েছে। চলতি বছর বিজয় হাজারে ট্রফিতে গত মঙ্গলবার অসম প্রথম ম্যাচ জয় করে। এই ম্যাচে জয়ের পিছনে প্রীতমের যথেষ্ট অবদান রয়েছে। তিনি তিনটে উইকেট শিকার করেছেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।