ব্যাট হাতে ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন মহম্মদ রিজওয়ান। ক্যাপ্টেনকে যথাযথ সঙ্গত করে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন রিলি রসৌ। বল হাতে মোক্ষম সময়ে জ্বলে ওঠেন শাহনওয়াজ দাহানি। যার মিলিত ফল, টানা দ্বিতীয়বার পাকিস্তান সুপার লিগের ফাইনালে গতবারের চ্যাম্পিয়ন মুলতান সুলতানস।
ফখর জামান অবশ্য লাহোরকে জেতানোর একক প্রয়াস চালান। তবে তাঁর হাফ-সেঞ্চুরি দলকে জয় এনে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট ছিল না।
পাকিস্তান সুপার লিগের কোয়ালিফায়ারে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে মুলতান সুলতানস। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেটের বিনিময়ে ১৬৩ রান তোলে। শান মাসুদ ২ ও আমের আজমত ৩৩ রান করে আউট হন। ক্যাপ্টেন রিজওয়ান ৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫১ বলে ৫৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৭টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৪২ বলে ৬৫ রান করে নট-আউট থাকেন রিলি রসৌ।
লাহোরের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন মহম্মদ হাফিজ ও সমিত প্যাটেল। ৪ ওভারে ৩১ রান খরচ করেও উইকেট পাননি শাহিন আফ্রিদি।
পালটা ব্যাট করতে নেমে লাহোর কালান্দার্স ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রানে আটকে যায়। ২৮ রানে ম্যাচ জিতে ফাইনালের টিকিট পকেটে পোরে মুলতান। লাহোরের হয়ে ফখর জামান সব থেকে বেশি ৬৩ রান করেন। ৪৫ বলের ইনিংসে তিনি ২টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন। এছাড়া কামরান গুলাম ২০ রানের যোগদান রাখেন। খাতা খুলতে পারেননি হাফিজ।
মুলতানের হয়ে শাহনওয়াজ দাহানি ১৯ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট নেন। ২টি উইকেট নেন ডেভিড উইলি। ম্যাচের সেরা হয়েছেন শাহনওয়াজ। লাহোরকে অবশ্য টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যেতে হয়নি। এলিমিনেটরের বাধা টপকে তাদের সামনে ফাইনালে ওঠার রাস্তা এখনও খোলা রয়েছে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।