প্রথমবার আইপিএলে মাঠে নামার আগে পাকিস্তান সুপার লিগের মঞ্চে যথাযথ প্রস্তুতি সারলেন সিকন্দর রাজা। জিম্বাবোয়ের তারকা অল-রাউন্ডার পিএসএলে ব্যাট হাতে রীতিমতো তাণ্ডব চালান। মূলত সিকন্দর রাজা ও রশিদ খানের যুগলবন্দিতে লাহোর কালান্দার্স হারতে হারতে জয় তুলে নেয় কোয়েট্টা গ্ল্যাডিয়েটর্সের বিরুদ্ধে।
গদ্দাফি স্টেডিয়ামে লিগের ১৮তম ম্যাচে টস জিতে লাহোরকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠায় কোয়েট্টা। লাহোর শুরু থেকেই একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে। একসময় মাত্র ৫০ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বসে তারা।
সাত নম্বরে ব্যাট করতে নামা সিকন্দর রাজা রশিদ খানের সঙ্গে জুটি বেঁধে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন। অষ্টম উইকেটের জুটিতে দু'জনে মিলে যোগ করেন ৬৯ রান। শেষে রশিদ ব্যক্তিগত ২১ রানের মাথায় আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। ২০ বলের ইনিংসে তিনি ১টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন।
রশিদ আসলে সঙ্গ দিচ্ছিলেন অপর প্রান্ত দিয়ে ঝড় তোলা সিকন্দরকে, যিনি শেষমেশ ৩৪ বলে ৭১ রানের ধ্বংসাত্মক ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। ৮টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন সিকন্দর। তিনি ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মাত্র ২২ বলে। লাহোর শেষে ১৯.২ ওভারে ১৪৮ রানে অল-আউট হয়ে যায়।
লাহোরের বাকি ব্যাটসম্যানরা নজর কাড়তে পারেননি। আব্দুল্লা শফিক ১৫, শাহিন আফ্রিদি ১৬, ফখর জামান ৪ ও স্যাম বিলিংস ২ রান করে আউট হন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, শাহিন আফ্রিদি ব্যাট করতে নামেন সিকন্দর রাজারও আগে।
কোয়েট্টার নবীন উল হক ও মহম্মদ নওয়াজ ২টি করে উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট দখল করেন নাসিম শাহ, ওডিন স্মিথ ও উমেদ আসিফ। লাহোরের ৩ জন ব্যাটসম্যান রান-আউট হন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে কোয়েট্টা ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৩১ রান তোলে। ১৭ রানের ব্যবধানে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে লাহোর। উইল স্মিড দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৩২ রান করেন। ২৭ রানের যোদগান রাখেন সরফরাজ আহমেদ। মার্টিন গাপ্তিল ১৫, ইয়াসির খান ১৪ ও ওডিন স্মিথ ১১ রান করেন।
রশিদ খান বল হাতেও রং ছড়ান। তিনি ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান খরচ করে ২টি উইকেট দখল করেন। ২২ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট সংগ্রহ করেন হ্যারিস রউফ। ১টি উইকেট নিয়েছেন ডেভিড ওয়াইজ। সঙ্গত কারণেই ম্যাচের সেরা হয়েছেন সিকন্দর।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup