নক-আউটে জায়গা করে নেওয়ার জন্য লিগের শেষ ম্যাচে সরাসরি জিততেই হতো, এমন কোনও শর্ত ছিল না বাংলার সামনে। প্রথম ইনিংসের নিরিখে বড়সড় লিডও ছিল হাতে। তা সত্ত্বেও চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধে রঞ্জি ম্যাচের শেষ দিনে সরাসরি জয়ের জন্য যে রকম মরিয়া লড়াই চালায় বাংলা, তা এককথায় অনবদ্য। শেষমেশ দুর্দান্ত জয় তুলে নিয়ে গ্রুপ লিগের অভিযান শেষ করে বাংলা। বলাবাহুল্য, গ্রুপ লিগে জয়ের হ্যাটট্রিক করে চলতি রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেন অভিমন্যু ঈশ্বরনরা।
এলিট বি-গ্রপের প্রথম ম্যাচে বরোদাকে ৪ উইকেটে হারিয়ে দেয় বাংলা। দ্বিতীয় ম্যাচে তারা হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ৭২ রানে জয় তুলে নেয়। এবার লিগের শেষ ম্যাচে বাংলা ১৫২ রানে পরাজিত করে চণ্ডীগড়কে। সুতরাং, লিগের সব ম্যাচ জিতেই নক-আউটের টিকিট পাকা করেন অভিমন্যুরা।
বাংলার ৪৩৭ রানের জবাবে চণ্ডীগড় প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয় ২০৬ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলা ৮ উইকেটে ১৮১ রান তুলে ব্যাট ছেড়ে দেয়। শেষ দিনে চণ্ডীগড় তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে অল-আউট হয় ২৬০ রানে। অমৃত লুবানা (৫৭) ও জসকরণ সিং (অপরাজিত ৬০) প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন শেষ ইনিংসে। যদিও তাঁরা দলের হার বাঁচাতে সক্ষম হননি। প্রথম ইনিংসের শতরানের সুবাদে ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন বাংলা অধিনায়ক অভিমন্যু।
এলিট বি-গ্রপ:-
১. বাংলা: ম্যাচ-৩, জয়-৩, ড্র-০, হার-০, পয়েন্ট-১৮।
২. হায়দরাবাদ: ম্যাচ-৩, জয়-২, ড্র-০, হার-১, পয়েন্ট-১২।
৩. বরোদা: ম্যাচ-৩, জয়-০, ড্র-১, হার-২, পয়েন্ট-৩।
৪. চণ্ডীগড়: ম্যাচ-৩, জয়-০, ড্র-১, হার-২, পয়েন্ট-১।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।