চলতি রঞ্জি অভিযানে বাংলা শিবিরকে ব্যাট হাতে নির্ভরতা দিচ্ছেন দুই সিনিয়র তারকা মনোজ তিওয়ারি (৩২৪ রান) ও অনুষ্টুপ মজুমদার (৩৯৭ রান)। ক্যাপ্টেন অভিমন্যু ঈশ্বরন (৩১৩ রান) ছাড়াও ব্যাট হাতে ছন্দে রয়েছেন অল-রাউন্ডার সায়ন শেখর (২১০ রান) ও নবাগত উইকেটকিপার অভিষেক পোড়েলও (২৮৭ রান)। বল হাতে উইকেট নিয়ে চলেছেন ইশান পোড়েল (১৪টি উইকেট), আকাশ দীপ (১১টি উইকেট), মুকেশ কুমাররাও (১৫টি উইকেট)। তবে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে বাংলার সেমিফাইনালের লড়াইয়ে তুরুপের তাস হতে পারেন স্পিনার অল-রাউন্ডার শাহবাজ আহমেদ।
আসলে বাংলা সেমিফাইনাল খেলতে নামবে আলুরে, যেখানে স্পিনারদের জন্য পর্যাপ্ত সাহায্য রয়েছে। অন্তত কোয়ার্টার ফাইনালের পরিসংখ্যান দেখেই বোঝা যায় যে, কেএসসিএ গ্রাউন্ডের বাইশগজে স্পিনারদের সফল হওয়ার সম্ভাবনা বিস্তর।
বিশেষ করে মধ্যপ্রদেশ বনাম পঞ্জাব কোয়ার্টার ফাইনালে স্পিনারদের একতরফা দাপট দেখা যায়। ম্যাচের প্রথম ইনিংসে মধ্যপ্রদেশের অফ-স্পিনার সরাংশ জৈন ২টি ও বাঁ-হাতি রিস্ট স্পিনার কুমার কার্তিকেয়া ১টি উইকেট নেন।
পঞ্জাবের হয়ে প্রথম ইনিংসে বাঁ-হাতি স্পিনার বিনয় চৌধরী ৫টি উইকেট দখল করেন। এছাড়া গুরকিরৎ সিং মন ১টি ও লেগ-স্পিনার মায়াঙ্ক মার্কান্ডে ২টি উইকেট পকেটে পোরেন।
মধ্যপ্রদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে কার্তিকেয়া ৬টি ও সরাংশ ৪টি উইকেট নিয়ে পঞ্জাবকে ছেঁটে ফেলেন। সুতরাং ম্যাচে ৩০টি উইকেটের মধ্যে স্পিনাররা নেন ২১টি উইকেট। বিশেষ করে দুই বাঁ-হাতি স্পিনার কার্তিকেয়া ও বিনয়ের সফল হওয়াই সেমিফাইনালে বাংলার বাঁ-হাতি স্পিনার শাহবাজকে নিয়ে বাজি ধরতে উদ্বুদ্ধ করছে।
শাহবাজ রঞ্জির ৪ ম্যাচে ১২টি উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৪৪ রান সংগ্রহ করেছেন। সুতরাং, সেমিফাইনালে ব্যাটে-বলে বাংলার নায়ক হতে পারেন শাহবাজ আহমেদ। যদিও বাংলা শিবিরকে সতর্ক থাকতে হবে কুমার কার্তিকেয়াকে নিয়ে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।