অনূর্ধ্ব-১৯ কোচবিহার ট্রফিতে দুর্দান্ত ছন্দে ছিলেন অভিষেক পোড়েল। পরে যুব বিশ্বকাপের আসরে জাতীয় দলেও ডাক পান বাংলার উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটের ধারাবাহিকতা দিয়েই বাংলার রঞ্জি ট্রফির দলে জায়গা করে নেন অভিষেক। সিনিয়র ক্রিকেটে আবির্ভাব ম্যাচেই দলকে জিতিয়ে অভিষেক বুঝিয়ে দেন যে, তিনি লম্বা রেসের ঘোড়া। এবার দ্বিতীয় ম্যাচে ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরি করে অভিষেক ফের প্রমাণ করলেন নিজের দক্ষতা।
কটকে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে রঞ্জি ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৭টি বাউন্ডারির সাহায্যে মাত্র ৪৬ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন অভিষেক। তিনি শেষমেশ ৭৩ রান করে রবি তেজার বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন। ৬২ বলের আগ্রাসী ইনিংসে ১০টি বাউন্ডারি মারেন বাংলার নবাগত উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান।
উল্লেখ্য, বরোদার বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফিতে আত্মপ্রকাশেই প্রথম ইনিংসে ২১ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ম্যাচ জেতানো অপরাজিত ৫৩ রান করেন অভিষেক। সুতরাং, প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে নিজের প্রথম তিনটি ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে অভিষেক ২টি হাফ-সেঞ্চুরি করলেন।
হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে বাংলা অল-আউট হয়ে যায় ২৪২ রানে। ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন দুই ওপেনার সুদীপ ঘরামি ও অভিমন্যু ঈশ্বরন। সুদীপ ১৪ রান করে আউট হন। খাতা খুলতে পারেননি ক্যাপ্টেন ঈশ্বরন। ঋত্ত্বিক রায়চৌধুরী ৩৩ ও সায়ন শেখর মণ্ডল ৩৪ রান করে মাঠ ছাড়েন। অনুষ্টুপ মজুমদার ২৯ রান করে ক্রিজ ছাড়েন। মনোজ তিওয়ারি মাত্র ২ রান করে আউট হন।
শাহবাজ আহমেদ চায়ের বিরতির পরে সাজঘরে ফেরেন ব্যক্তিগত ৪০ রানের মাথায়। আকাশ দীপ ১৩ রান করে আউট হন। খাতা খুলতে পারেননি ইশান পোড়েল।
জবাবে ব্যাট করতে নেম হায়দরাবাদ প্রথম দিনের শেষে তাদের প্রথম ইনিংসে ২ উইকেট হারিয়ে ১৫ রান তুলেছে। অক্ষত রেড্ডি ও তিলক বর্মাকে খাতা খুলতে দেননি মুকেশ কুমার। তন্ময় আগরওয়াল ৫ ও হিমালয় আগরওয়ার ১০ রানে অপরাজিত রয়েছেন। মুকেশ ৪ ওভারে ৩টি মেডেন-সহ ৩ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নিয়েছেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।