দল ছন্দে রয়েছে। কোয়ার্টার ফাইনালে ব্যাটে-বলে দাপুটে পারফর্ম্যান্স উপহার দিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে বাংলা। স্বাভাবিকভাবেই শেষ চারের লড়াইয়ের আগে আত্মবিশ্বাসী কোচ অরুণ লাল। সেই আত্মবিশ্বাস কার্যত হুঙ্কার হয়ে ঝরে পড়ল তাঁর গলায়। মধ্যপ্রদেশের মুখোমুখি হওয়ার আগে বাংলা কোচ জোর গলায় জানালেন, সেমিফাইনালের জন্য তাঁরা প্রস্তুত।
বাংলা শিবিরের দুশ্চিন্তা ছিল একটা বিষয়েই। হাঁটুর চোটে কাবু মনোজ তিওয়ারি সেমিফাইনালে মাঠে নামতে পারবেন কিনা? শেষমেশ সমর্থকদের উৎকণ্ঠা দূর করলেন অরুণ লাল। সঙ্গে সম্ভাব্য গেম প্ল্যানেরও হদিশ দিলেন তিনি। ইঙ্গিত দিলেন, কোয়ার্টার ফাইনালে যে ঝুঁকি নিয়েছিলেন তাঁরা, সেমিফাইনালে সম্ভবত সেই পথে হাঁটবেন না।
সেমিফাইনালের আগের দিন অরুণ লাল বলেন, ‘গত দু’দিনে আমাদের অনুশীলন যথাযথ হয়েছে এবং আমরা আগামী কালের ম্যাচের জন্য প্রস্তুত। গত ম্যাচে আমরা একটা ঝুঁকি নিয়েছিলাম। একজন স্পিনারে খেলা এবং পাঁচজন বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যানের বিরুদ্ধে অফ-স্পিনার না খেলানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন ছিল। শেষমেশ সেটা আমাদের জন্য কার্যকরী হয়ে দাঁড়ায়। সায়ন শেখর ব্যাট হাতে ভালো খেলে এবং উইকেটও নেয়। এই ম্যাচের দলে সম্ভবত আমাদের আরও একটু ভারসাম্য আনতে হবে। সম্ভবত একজন পেসার কম খেলানো হবে।'
আরও পড়ুন:- রজত পতিদার, কুলদীপ সেনদের নিয়ে ভীত নয় বাংলা, যাবতীয় উদ্বেগ, মনোজের চোটকে ঘিরে
বাংলা কোচ আরও বলেন, ‘আমি পিচ দেখেছি। খারাপ কিছু মনে হয়নি। কর্নাটক ও উত্তরপ্রদেশের মধ্যে এখানের শেষ ম্যাচের স্কোর দেখেছি। তিন দিনেই ম্যাচ শেষ হয়ে যায়। বেশিরভাগ উইকেট নেয় পেসাররা। সুতরাং, পিচ কেমন হয় দেখার জন্য ম্যাচের দিন সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবে সাধারণভাবে ২ স্পিনার ও ৩ পেসারে দল সাজানোই যথাযথ হবে বলে মনে হয়।’
শেষে অরুণ লাল মনোজ সেমিফাইনালে খেলতে পারবেন কিনা, সেবিষয়ে আপডেট দেন। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় মনোজ কালকের ম্যাচের আগে ফিট হয়ে যাবে। আশা করি ও সেমিফাইনালে মাঠে নামবে।’