প্রথম দিনে যেরকম দাপটের সঙ্গে ব্যাটিং করছিলেন করুণ নায়ার, তাতে ব্যক্তিগত দ্বিশতরানে পৌঁছনোর সম্ভাবনা ছিল বিস্তর। তবে অপর প্রান্ত দিয়ে যথাযথ সঙ্গ পাবেন কিনা, সেবিষয়ে সংশয় ছিলই। শেষমেশ দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় আউট হয়ে বসেন কর্নাটকের তারকা ব্যাটসম্যান। হাতছাড়া হয় ডাবল সেঞ্চুরি।
চেন্নাইয়ে রঞ্জির এলিট সি-গ্রুপের ম্যাচে জম্মু-কাশ্মীরের বিরুদ্ধে মাঠে নামে কর্নাটক। টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে তারা প্রথম দিনের খেলা শেষ করে ৮ উইকেটে ২৬৮ রান তুলে। ব্যক্তিগত ১৫২ রানে অপরাজিত ছিলেন নায়ার।
দ্বিতীয় দিনে তার পর থেকে খেলতে নেমে কর্নাটক তাদের প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয়ে যায় ৩০২ রানে। করুণ নায়ার ১৭৫ রান করে পারভেজ রসুলের বলে এলবিডব্লিউ হন। ৩১১ বলের ইনিংসে নায়ার ২৪টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। সুতরাং, কলকাতা নাইট রাইডার্স থেকে এবছর রাজস্থান রয়্যালসে যোগ দেওয়া নায়ার একাই দলের হয়ে অর্ধেকের বেশি রান করেন।
এছাড়া কর্নাটকের হয়ে প্রথম ইনিংসে আর সামর্থ ৪৫, দেবদূত পাডিক্কাল ৮, মণীশ পান্ডে ১, শ্রেয়স গোপাল ৭, কৃষ্ণাপ্পা গৌতম ২ ও রনিত মোরে ২৩ রান করেন। পারভেজ রসুল ৬০ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট দখল করেন। ২টি উইকেট নেন উমরান মালিক। ১টি উইকেট নিয়েছেন আব্দুল সামাদ।
পালটা ব্যাট করতে নামা জম্মু-কাশ্মীর শিবিরে মোক্ষম আঘাত হানেন কেকেআর থেকে রাজস্থানে চলে যাওয়া আরও এক তারকা প্রসিধ কৃষ্ণা। টিম ইন্ডিয়ার তারকা পেসার ১২ ওভার বল করে ৩৫ রানের বিনিময়ে ৬টি উইকেট দখল করেন। জম্মু-কাশ্মীর প্রথম ইনিংসে মাত্র ৯৩ রানে অল-আউট হয়ে যায়। প্রথম ইনিংসের নিরিখে ২০৯ রানের বিশাল লিড নেয় কর্নাটক।
দুই ওপেনার কামরান ইকবাল ও যতীন ওয়াধওয়ান যথাক্রমে ৩৫ ও ২৫ রান করেন। বাকিরা কেউই বলার মতো রান করতে পারেননি। আব্দুল সামাদ ৩ রান করে আউট হন। রসুলের সংগ্রহ ১। উমরান মালিক ৪ রান করে ক্রিজ ছাড়েন। যদিও জম্মু-কাশ্মীরকে ফলো-অন করায়নি কর্নাটক।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।