যে পিচে বাংলার ২ জন ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি করলেন এবং ৭ জন করলেন হাফ-সেঞ্চুরি, ঠিক সেই বাইশগজেই ১৩৯ রান তুলতে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে ঝাড়খণ্ড। অভিষেক পোড়েল বিরাট সিংয়ের সহজ ক্যাচ মিস না করলে বাংলার খাতায় সংগৃহীত উইকেটের সংখ্যা আরও বাড়তে পারত।
একই পিচে দু'দলের ভিন্ন মেরুর ব্যাটিং পারফর্ম্যান্সের রহস্য জানালেন সায়ন শেখর মণ্ডল। সায়ন প্রথমে ব্যাট হাতে ৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৮৫ বলে ৫৩ রান করেন। পরে বল হাতে ৩২ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট দখল করেন। সুতরাং, পিচের চরিত্র সম্পর্কে তাঁর থেকে ভালো ধারণা আর কারই বা থাকতে পারে। অন্তত বাইশগজ থেকে বোলাররা নাকি ব্যাটসম্যানরা বাড়তি সাহায্য পাচ্ছেন, সেটা বিচার করার সেরা ব্যক্তি হতে পারেন সায়নই।
এহেন সায়ন তৃতীয় দিনের শেষে সমর্থন করে গেলেন অনুষ্টুপ মজুমদারের দাবিকে। বাংলার দাপুটে ব্যাটিং সত্ত্বেও অনুষ্টুপ আগের দিন দাবি করেছিলেন যে, পিচে পেসারদের জন্য সাহায্য রয়েছে। তাই বোলাররা অনুসাশিত বোলিং করতে পারলে ম্যাচে বাংলাই ছড়ি ঘোরাবে। সায়নও স্পষ্ট জানালেন, বাইশগজে পেসারদের জন্য পর্যাপ্ত সাহায্য রয়েছে।
বাংলার অল-রাউন্ডার এটাও স্পষ্ট করে দেন যে, অনুসাশিত বোলিংই তফাৎ গড়ে দেয় দু'দলের পারফর্ম্যান্সে। তিনি বলেন, ‘পিচ পেসারদের সাহায্য করছে। ইশান (পোড়েল), আকাশ (দীপ), মুকেশের (কুমার) মতো সেরা সব পেসার রয়েছে আমাদের দলে। আমাদের বোলিং আক্রমণ অত্যন্ত শক্তিশালী। আমরা সঠিক জায়গায় বল রেখেছি। খুব বেশি লুজ বল উপহার দিইনি। আমার মনে হয় এটাই তফাৎ গড়ে দিয়েছে।’
পরে দলের ৯ জন ব্যাটসম্যানের ৫০ রানের গণ্ডি টপকানোর রেকর্ড প্রসঙ্গে সায়ন বলেন, ‘ম্যাচের (তৃতীয় দিনের খেলার) শেষে আমরা রেকর্ড সম্পর্কে জানতে পারি। এমন নজির গড়তে পেরে আমরা উচ্ছ্বসিত। আমরা সংঘবদ্ধভাবে দারুণ ব্যাটিং করেছি। সেই মোমেন্টামটা ধরে রাখতে হবে। আমাদের লক্ষ্য হল কাল (চতুর্থ দিনে) যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রতিপক্ষকে অল-আউট করা।’
উল্লেখ্য, বাংলার ৭ উইকেটে ৭৭৩ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ঝাড়খণ্ড তৃতীয় দিনের শেষে তাদের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৩৯ রান তুলেছে। এখনও তারা পিছিয়ে রয়েছে ৬৩৪ রানে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।