রঞ্জি ট্রফ্রির প্রথম ইনিংসে বাংলা দলের ব্যাটারদের খেলা দেখে বিরক্ত হয়েছিলেন অরুণ লাল। বাংলার কোচ ভাবতেই পারছিলেন না যে তার দলের ছেলেরা বরোদার বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ৮৮ রানে গুটিয়ে যাবে। সুদীপ ঘরামি, অভিমন্যু ঈশ্বরণ, সুদীপ চট্টোপাধ্যায়, মনোজ তিওয়ারিদের ব্যাটিং দেখে রেগে গিয়েছিলেন বাংলার কোচ। এরপরেই অরুণ লাল বলেন, ‘বরোদার বোলাররা ভালো বল করেছে। কিন্তু অতিত শেঠ, লুকমান মেরিওয়ালার বলগুলো খেলা যায় না, মোটেই এ রকম ছিল না। আর বাংলাকে ৮৮ রানে শেষ করে দেওয়ার মতো বল তো ওরা করেইনি।’
ম্যাচ বাঁচানো নিয়ে এখনও আশা ছাড়ছেন না দলের কোচ। অরুণ লাল বলেন, ‘এখন আমাদের একটাই কাজ, খুব ভালো ব্যাট করতে হবে। এ ছাড়া আর কোনও রাস্তা নেই। লড়াই করে ম্যাচে ফিরতেই হবে। আর তা না হলে প্রথম ম্যাচেই হারতে হবে। যেহেতু আর দু’দিন খেলা বাকি, তাই কাজটা একেবারেই অসম্ভব নয়। বিশেষ করে এখন উইকেট যে রকম আচরণ করছে, তাতে ম্যাচ বাঁচানো একেবারেই অসম্ভব নয়।’
কোচের কথা মতোই যেন কাজ হল। ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংস ধরে খেলছে বাংলার ক্রিকেটাররা। প্রথম ইনিংসে ১৮১ রান করার পরে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫৫ রান করে বরোদা। জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণ শুরু করে বাংলা। কোনও উইকেট না হারিয়েই ৬৪ বলে ৮৯ রানের পার্টনারশিপ করে সুদীপ কুমার ঘরামি ও অভিমন্যু ঈশ্বরণ। ৫০ রান সম্পূর্ণ করেন ঈশ্বরণ। ৮০ বলে ২৭ রান করে আউট হন সুদীপ ঘরামি। বাংলাকে ম্যাচ জিততে হলে দ্বিতীয় ইনিংসে করতে হবে ৩৪৯ রান। ২৪ ওভারের শেষে এক উইকেটের বিনিময়ে ৮৯ রান করেছিল বাংলা। তবে এরপরেই শূন্য রানে সাজঘরে ফিরে বাংলাকে চাপে ফেলে দেন ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায়। বর্তমানে বাংলার স্কোর ২৭ ওভারে ২ উইকেটের বিনিময়ে ১০০ রান। ম্যাচ জিততে বাংলার এখনও দরকার ২৪৯ রান।
এদিকে প্রথম ইনিংসে অনুষ্টুপের আউট মানতে পারেননি অরুণ লাল। অতিতের বলে উইকেটেরক্ষক মিতেশ পটেলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন অনুষ্টুপ। অরুণ বলেন, ‘অনুষ্টুপের আউটের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। তবে ক্রিকেটে এ রকম হতেই পারে। গোটা দলের ব্যাটিং ব্যর্থতার পিছনে এটা কোনও অজুহাত হতে পারে না।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।