সতীর্থ অভয় নেগির জন্য রঞ্জিতে ইতিহাস গড়া হল না দীপক ধাপোলার। উত্তরাখণ্ডের ৩২ বছর বয়সী পেসার হিমাচলপ্রদেশের মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে এক ইনিংসে একাই নিলেন ৮টি উইকেট। অভয় বাকি ২টি উইকেট তুলে নেওয়ায় প্রথম ইনিংসে ১০ উইকেট নেওয়া হয়নি দীপকের।
ধাপোলার এমন আগুনে বোলিংয়ে ঝলসে যায় হিমাচলপ্রদেশের প্রথম ইনিংস। ঋষি ধাওয়ানরা শুরুতে ব্যাট করতে নেমে তাদের প্রথম ইনিংসে মাত্র ৪৯ রানে অল-আউট হয়ে যায়।
অথচ দেরাদুনের অভিমন্যু ক্রিকেট অ্যাকাডেমি মাঠে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় হিমাচলপ্রদেশ। ক্যাপ্টেন ঋষির সিদ্ধান্ত যে মোটেও সঠিক ছিল না, তার প্রমাণ মেলে প্রথম দিনের শেষেই।
শুরু থেকেই ধারাবাহিকভাবে উইকেট হারাতে থাকে হিমাচল। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে অঙ্কিস কলসি দলের হয়ে সব থেকে বেশি ২৬ রান করেন। এছাড়া আর কেউই দু'অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি। প্রশান্ত চোপড়া ১, অমিত কুমার ৬, আকাশ বশিষ্ট ৪, ঋষি ধাওয়ান ৫ ও পঙ্কজ জসওয়াল ৫ রান করেন। খাতা খুলতে পারেননি রাঘব ধাওয়ান, প্রবীণ ঠাকুর, মায়াঙ্ক ডাগর, গুরবিন্দর সিং ও বৈভব আরোরা।
আরও পড়ুন:- IND vs SL: লোকেশ রাহুলের ডানা ছাঁটল BCCI, রোহিতের পরে নেতা কে, মিলল স্পষ্ট ইঙ্গিত
দীপক ৮.৩ ওভার বল করে ২টি মেডেন-সহ ৩৫ রানের বিনিময়ে ৮টি উইকেট দখল করেন। ৫ ওভার বল করে ৩টি মেডেন-সহ ৫ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট নেন অভয়।
পালটা ব্যাট করতে নেমে উত্তরাখণ্ড প্রথম দিনের শেষে তাদের প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ২৯৫ রান তোলে। তার পর থেকে খেলতে নেমে দ্বিতীয় দিনে উত্তরাখণ্ড তাদের প্রথম ইনিংস শেষ করে ৩৩৬ রানে। ওপেন করতে নেমে প্রিয়াংশু খান্দুরি ৩৬ ও ক্যাপ্টেন জীবনজ্যোৎ সিং ৪৫ রান করেন। দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৯২ রান করেন উইকেটকিপার আদিত্য তারে।
এছাড়া অভয় নেগি ৭০, কুণাল চাণ্ডেলা ১৪, আরিয়ান শর্মা ২৩, স্বপ্নিল সিং ১২, অখিল রাওয়াত ১৬, মায়াঙ্ক মিশ্র ১০, দীপক ধাপোলা ৪ ও অগ্রিম তিওয়ারি অপরাজিত ৪ রান করেন।
হিমাচলের হয়ে প্রথম ইনিংসে ৮০ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট নেন বৈভব আরোরা। ঋষি ধাওয়ান ৬৫ রানে ৩ উইকেট দখল করেন। ৫৮ রানে ২টি উইকেট নেন পঙ্কজ জসওয়াল। ৭৯ রান খরচ করে ১টি উইকেট পকেটে পোরেন মায়াঙ্ক ডাগর।