ঋদ্ধিমান সাহার দিক থেকে ভারতীয় টিম ম্য়ানেজমেন্ট মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার পরে টিম ইন্ডিয়ার দ্বিতীয় উইকেটকিপার হিসেবে টেস্ট স্কোয়াডের সঙ্গে ঘুরে বেড়ান কেএস ভরত। ঋষভ পন্ত দলের প্রথম পছন্দের উইকেটকিপার ছিলেন। পন্ত এখন গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে। যা ইঙ্গিত মিলছে, তাতে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে তাঁর মাঠে নামার সম্ভাবনা নেই।
সুতরাং অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চারটি হোম টেস্টে পন্তের পরিবর্তে অন্য কাউকে উইকেটকিপিং করতে দেখা যাবে নিশ্চিত। এক্ষেত্রে কেএস ভরতের ভাগ্যে শিকে ছেঁড়া স্বাভাবিক। তবে ইতিমধ্যেই সীমিত ওভারের ক্রিকেটে জাতীয় দলের হয়ে নজর কাড়া ইশান কিষাণের মতো উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যানের নাম ঘোরাফেরা করছে ভারতীয় ক্রিকেটমহলে। তাই নিতান্ত প্রতিদ্বন্দ্বীহীন বলা যাবে না ভরতকে। তাছাড়া ভারতীয়-এ দলের হয়ে মাঠে নামা উপেন্দ্র যাদবের নামও নিশ্চিতভাবেই বিবেচনায় থাকবে জাতীয় নির্বাচকদের।
পন্তের অনুপস্থিতিতে যাতে টিম ইন্ডিয়ার প্রথম পছন্দের টেস্ট উইকেটকিপারে পরিণত হওয়া যায়, সেই চেষ্টায় কসুর করছেন না ভরত। বিশেষ করে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে রঞ্জি ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে যেরকম আগ্রাসী ইনিংস খেলেন ভরত, তাতে পন্তের মেজাজ ধরা পড়ে স্পষ্ট।
কেএস ভরত প্রথম ইনিংসে মাত্র ৫ রান করে আউট হন। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি ৮৯ রানের অনবদ্য ইনিংস উপহার দেন দলকে। ৭০ বলের ধ্বংসাত্মক ইনিংসে ভরত ১৫টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ঋষভ পন্ত জাতীয় দলের হয়ে টেস্টে ঠিক এমন আগ্রাসী ভঙ্গিতেই ব্যাট করে থাকেন।
কিপিং স্কিল নিয়ে তেমন কোনও প্রশ্ন নেই। আসলে ব্যাটিংয়ের নিরিখেই যে ভারতীয় দলের প্রথম পছন্দের উইকেটকিপার নির্ধারণ করা হয়, সেটা ভালো মতোই বোঝেন ভরত। সেকারণেই সম্ভবত নিজেকে এমন আগ্রাসী মেজাজে তুলে ধরেন শ্রীকর।
ম্যাচে প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে পড়া সত্ত্বেও অন্ধ্রপ্রদেশ ১৫৪ রানের বড় ব্যবধানে জয় তুলে নেয়। শুরুতে ব্য়াট করে অন্ধ্র প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৩৫ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ৮১ রান করেন অভিষেক রেড্ডি। হনুমা বিহারী ২ রান করে সাজঘরে ফেরেন। হায়দরাবাদের রবি তেজি ৫ উইকেট নেন।
পালটা ব্যাট করতে নেমে হায়দরাবাদ প্রথম ইনিংসে ১৯৭ রান তোলে। তন্ময় আগরওয়াল করেন ৩৫ রান। ৪টি উইকেট নেন অন্ধ্রর নীতিশ রেড্ডি।
প্রথম ইনিংসের নিরিখে ৬২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দফায় ব্যাট করতে নামে অন্ধ্রপ্রদেশ। তারা দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৬২ রান তোলে। ঋকি ভুই ১১৬, করণ সিন্দে ১০৫, কেএস ভরত ৮৯ ও হনুমা বিহারী ৩৩ রান করেন। রক্ষণ রেড্ডি ৩টি উইকেট নেন।
জয়ের জন্য ৪০১ রানের লক্ষ্যমাত্রা সামনে নিয়ে শেষ ইনিংসে ব্যাট করতে নামে হায়দরাবাদ। তারা তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে অল-আউট হয় ২৪৬ রানে। চন্দন সাহানি ৫৬ রান করেন। ৫টি উইকেট নেন শশিকান্ত।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।