রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালের দ্বিতীয় দিনের লাইভ ব্লগে আপনাদের স্বাগত। কর্ণাটকের আলুরে মুখোমুখি বাংলা ও মধ্যপ্রদেশ। প্রথম দিনে সেয়ানে সেয়ানে লড়াই হয়েছে। বাংলার পেসারদের দাপটকে অনেকটাই ভোঁতা করে দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের হিমাংশু মন্ত্রী। দ্বিতীয় দিন শুরুটা ভালো করলেও তারপরেই দ্রুত উইকেট হারায় মধ্যপ্রদেশ। শেষ পর্যন্ত ৩৪১ রানে শেষ হয় তাদের ইনিংস। তারপর ব্যাট করতে নেমেই ধসে যায় বাংলার ইনিংস। সেখান থেকে বাংলাকে টানছেন মনোজ তিওয়ারি এবং শাহবাজ আহমেদ। দিনের শেষে বাংলা ১৯৭-৫। আজকের দিনের সমস্ত বড় আপডেট ধরা আছে আমাদের লাইভ ব্লগে।
এভাবেও ফিরে আসা যায়-
কার্যত মধ্যপ্রদেশ ইনিংসের কার্বন কপি হয়ে যাচ্ছে বাংলার ইনিংস। মধ্যপ্রদেশকে যেমন বাঁচিয়েছিলেন অক্ষত ও মন্ত্রী, বাংলার মানরক্ষা করেছেন শাহবাজ ও মন্ত্রীমশাই। মনোজ তিওয়ারি ও শাহবাজ আহমেদ এখনও পর্যন্ত ১৪৩ রানের পার্টনারশিপ করেছেন। তৃতীয় সেশনে রীতিমত ফ্ল্যাট লাগল মধ্যপ্রদেশের বোলারদের। ৬৬ ওভার বল করা হয়ে গিয়েছে। নতুন বলের আগে আরো ১৪ ওভার বাকি। বুধবার সকালে তাই মনোজদের সামনে সুযোগ নতুন বল আসার আগে যতটা সম্ভব রান তুলে নেওয়ার। যদিও এই ম্যাচে অনেক সময় বাকি আছে ও খুব সম্ভবত সরাসরি ফলাফল আসবে, তবুও প্রথম ইনিংসে লিড চাইবে উভয় দলই।
মধ্যপ্রদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন কুমার কার্তিকেয় ও পুনীত দাতে। ২৫ ওভার হাত ঘুরিয়ে কার্তিকেয় দুই উইকেট পেয়েছেন ৪৩ রান দিয়ে। ১৬ ওভার বল করেছেন সারাংশ জৈন। নিয়েছেন একটি উইকেট। অনুভব, গৌরব ও শুভম অল্প কিছু ওভার হাত ঘোরালেও উইকেট পাননি। পিচে যদিও তেমন কোনও জুজু নেই। বাংলার দুই অপরাজিত ব্যাটার যদি কালও আজকের মতো করে ব্যাটিং করেন, তাহলে লিড পেতেও পারে ঈশ্বরনের দল। অন্যদিকে সকালেই ঝটকা দিতে চাইবে মধ্যপ্রদেশ। সবমিলিয়ে দ্বিতীয় দিনের শেষে ম্যাচের পাল্লা হয়তো এখনও সামান্য মধ্যপ্রদেশের দিকে ঝুঁকে আছে, কিন্তু মোমেন্টাম নিশ্চিত ভাবেই বাংলার সঙ্গে। মনোজ যদি কালও মেজাজে থাকেন, তাহলে হয়তো আবার ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটবে।
শেষ দ্বিতীয় দিনের খেলা, বাংলাকে আশা দেখাচ্ছেন মনোজ-শাহবাজ
শেষ দ্বিতীয় দিনের খেলা। দিনের শেষে বাংলার স্কোর পাঁচ উইকেটে ১৯৭ রান। ক্রিজে আছেন মনোজ তিওয়ারি (১৮২ বলে ৮৪ রান) এবং শাহবাজ আহমেদ (১৪৯ বলে ৭২ রান)। দু'জনে ষষ্ঠ উইকেটে ১৪৩ রান যোগ করেছেন।
Ranji Trophy: মধ্যপ্রদেশকে সামনে পেতেই ফের জ্বলে উঠল মনোজের ব্যাট, MP-র বিরুদ্ধে ২টি দ্বিশতরান রয়েছে বাংলার MLA-র
রঞ্জি ট্রফিতে মধ্যপ্রদেশকে সামনে পেলেই জ্বলে ওঠে মনোজ তিওয়ারির ব্যাট। এই ম্যাচের আগে রঞ্জিতে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে মনোজ তিনটি সেঞ্চুরি করেছেন, যার মধ্য দু'বার ডাবল সেঞ্চুরির গণ্ডি টপকে যান তিনি। সঙ্গে একটি হাফ-সেঞ্চুরিও করেছেন তিনি। – বিস্তারিত পড়ুন এখানে
কখন ভুল করবে বাংলা? অপেক্ষায় মধ্যপ্রদেশ, রাশ মনোজদের হাতে
পিছিয়ে থাকলেও খেলার রাশ এখন বাংলার হাতে। এখন মধ্যপ্রদেশ কার্যত বাংলার ভুলের অপেক্ষা করছে। কার্তিকেয় তো পুরোপুরি নেতিবাচক লাইনে বল করছেন। বাইরের লাইনে বল করায় রিভার্স সুইপে রান পাচ্ছেন মনোজ তিওয়ারি। তাঁকে নিয়ে কার্যত খেলছেন মনোজ।
সেঞ্চুরি হল মনোজ ও শাহবাজের জুটি
সেঞ্চুরি পূরণ হল মনোজ তিওয়ারি এবং শাহবাজ আহমেদ। দু'জনের জুটি ১০০ রান করে ফেলেছে।
৫০ করলেন ‘ক্রাইসিস ম্যান’ শাহবাজ
এবার রঞ্জিতে স্বপ্নের ফর্মে আছেন শাহবাজ আহমেদ। প্রবল চাপের মুখে অর্ধশতরান পূরণ করলেন। ১০৮ বলে ৫০ রান করলেন শাহবাজ।
প্রবল চাপের মুখে হাফ সেঞ্চুরি মনোজের, সঙ্গে আছেন শাহবাজ
অর্ধশতরান করলেন মনোজ তিওয়ারি। আপাতত ১২৬ বলে ৫২ রানে অপরাজিত আছেন মনোজ। শাহবাজ আহমেদ ৪৩ বলে অপরাজিত আছেন।
বাংলা ১২১-৫
৪৫ ওভার শেষে বাংলা ১২১-৫। ধীরে ধীরে ইনিংস গড়ে তুলছেন মনোজ ও শাহবাজ। যদিও সামনের পথ অনেকটা বন্ধুর। দিনের শেষ অবধি যাতে কোনও উইকেট আর না পড়ে আপাতত সেটাই টার্গেট থাকবে বাংলার। আপাতত তাই মাত্র দুই রান রেটেই খেলছে দল। একদিকে টানা বোলিং করে চলছেন কার্তিকেয়। অন্য প্রান্তে এসেছেন অনুভব।
দু-দিক থেকেই স্পিন
চার-বিরতির পর থেকে দুদিক থেকেই স্পিন বোলিং করা হচ্ছে। একদিকে কার্তিকেয় অন্যদিকে সারাংশ জৈন। সারাংশের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত বেশ দাপটের সঙ্গেই খেলেছেন বাংলার প্লেয়াররা। কার্তিকেয়র বিরুদ্ধে যদিও অনেকটাই রক্ষণাত্মক মনোজ ও শাহবাজ। ৪১ ওভার শেষে ১১০-৫
মন্ত্রী মনোজের কাঁধে বাংলার দায়িত্ব, লড়ছেন ‘ক্রাইসিস ম্যানও’
বাংলার ইনিংসে ধস রুখলেন মনোজ তিওয়ারি এবং শাহবাজ আহমেদ। চা পানের বিরতিতে বাংলার স্কোর পাঁচ উইকেটে ১০৬ রান। ক্রিজে মনোজ (৯২ বলে ৩৭ রান) এবং শাহবাজ (৭১ বলে ৩১ রান) আছেন।
মনোজ কি মন্ত্রীর মতো খেলতে পারবেন?
মধ্যপ্রদেশ ৯৭-৪ থেকে ৩৪১ করেছিল, তাই বাংলাও সেটা করতে পারে। প্রয়োজন মনোজ তিওয়ারিকে হিমাংশু মন্ত্রীর মতো করে খেলার। মন্ত্রীমশাই সেটা পারেন কিনা দেখার।
ভাগ্যবান শাহবাজ
গৌরবের বলে এজ লাগল শাহবাজের। উইকেটরক্ষক বল ধরার আগেই ড্রপ খেয়েছিল মাটিতে, তাই এই যাত্রায় কোনও ভাবে রিভিউতে বাঁচলেন শাহবাজ। ৩০ ওভার শেষে বাংলা ৯০-৫। মনোজ ৩৩ ও শাহবাজ ১৯ রানে নট আউট।
২২ ওভার শেষে ৬৯-৫
একা লড়ছেন মনোজ, সঙ্গে আছেন শাহবাজ। আগরওয়ালের বলে স্লিপে ক্যাচ দিলেন মনোজ, তবে ভাগ্য ভালো তাই গ্যাপে গেল বলটি। বর্তমানে ২৮ রানে নট আউট তিনি। অন্যদিকে আছেন শাহবাজ। সারাংশ ও গৌরব বল করছেন বর্তমানে। বাংলার প্রাথমিক টার্গেট হবে ফলো-অন বাঁচিয়ে যতটা মধ্যপ্রদেশের রানের কাছে যাওয়া যায় সেটা নিশ্চিত করা। তার জন্য যাবতীয় দায়িত্ব কার্যত মনোজের ওপর এখন।
উইকেট ছুঁড়ে দিলেন অভিষেক
দাতের বলে ফ্লিক করতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ দিয়ে আউট হলেন অভিষেক পোরেল। মাত্র নয় রান করেই সাজঘরে ফিরলেন তিনি। ১৭ ওভার শেষে বাংলার স্কোর ৫ উইকেটে ৫৫। মনোজ তিওয়ারি ও শাহবাজ আহমেদ এখন ক্রিজে। কার্তিকেয় ও দাতে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। একটি উইকেট নিয়েছেন সারাংশ জৈন। বাংলার প্লেয়ারদের মধ্যে কোনও অ্যাপ্লিকেশন দেখা যাচ্ছে না। তাঁরা কি কিছুটা আত্মতুষ্টিতে ভুগছিলেন, সেই প্রশ্ন কিন্তু উঠবে এই ব্যাটিং পারফরমেন্সের পর।
আউট ক্যাপ্টেন
২২ রান করে আউট অভিমন্যু ঈশ্বরন। দাতের বলে মন্ত্রীর হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরলেন তিনি। বাংলা- ৪৬-৪। এবার ক্রিজে এসেছেন অভিষেক পোরেল।
কাউন্টার অ্যাটাক বাংলার
ঠুকঠুক করে খেলে যে লাভ হবে না, বরং আরও বেশি আউটের সম্ভাবনা বাড়বে, সেটা অনুধাবন করেছেন বাংলার দুই ব্যাটার। তাই দুজনেই চালিয়ে খেলছেন বিশেষত মনোজ। ১৫ বলে তিনটি চারের সহযোগে ১৩ রানে অপরাজিত তিনি। অন্যদিকে দুটি চার মেরে ১৫ করেছেন অভিমন্যু। সবমিলিয়ে ৯ ওভার শেষে বাংলা ৩৪-৩।
ধস বাংলার টপ অর্ডারে
ধারে ও ভারে মধ্যপ্রদেশের থেকে অনেকটাই এগিয়ে ছিল বাংলা। কিন্তু এই মুহূর্তে নিশ্চিত ভাবেই ফাইনালে যাওয়ার বিষয় আত্মবিশ্বাসী হবেন পতিদাররা। বাংলার তিন টপ অর্ডার ব্যাটার কার্যত কোনও রান না করেই ফিরেছেন। খুব যে মারাত্মক বল ঘুরেছে তাও না, মোটের ওপর খারাপ টেকনিক ও নিজেদের অ্যাপ্লাই করতে না পারার কারণেই এই ভরাডুবি। ক্রিজে এখন ঈশ্বরন ও মনোজ। তাদের ওপরই কার্যত পুরো দায়িত্ব বাংলাকে এই ম্যাচে ফিরিয়ে আনার।
আউট অনুষ্টুপ
স্লিপে ক্যাচ দিয়ে এবার আউট হলেন অনুষ্টুপ মজুমদার। সারাংশ জৈনের বলে স্লিপে ক্যাচ তালুবন্দি করলেন রজত পতিদার। চার রান করে আউট অনুষ্টুপ, বাংলা ১১-৩
বাঁ-হাতি স্পিনারের জাদু
প্রথমেই কুমার কার্তিকেয়কে বোলিং করানোর যে মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশ অধিনায়ক শ্রীবস্তব, সেটা দারুণ ভাবে খেটে গিয়েছে। প্রথম ওভারে দুটি আউট, লাঞ্চে বাংলা সাত রানে দুই উইকেট। মারাত্মক চাপে অধিনায়ক ঈশ্বরন ও অনুষ্টুপ।
ইনিংসের শুরুতেই মহা বিপাকে বাংলা
শূন্য রানে ফিরেছেন অভিষেক রমন ও সুদীপ ঘরামি। দুজনকেই আউট করলেন কুমার কার্তিকেয়। তৃতীয় বলে অভিষেককে ও ষষ্ঠ বলে সুদীপকে বোল্ড করে সাজঘরে পাঠান তিনি। প্রথম ওভারের শেষে বাংলা দুই উইকেটে শূন্য। ক্রিজে ঈশ্বরন ও অনুষ্টুপ।
সেরা মুকেশ ও মন্ত্রী
বাংলার বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে প্রভাব ফেললেন মুকেশ কুমার। ৬৬ রানে চার উইকেট নিলেন তিনি। ৮৬ রান দিয়ে তিনটি উইকেট নেন শাহবাজ। দুটি উইকেট নিয়েছেন আকাশদীপ ও একটি নিয়েছেন প্রদীপ্ত প্রামাণিক।
অন্যদিকে মধ্যপ্রদেশের জন্য টপস্কোর হিমাংশু মন্ত্রীর। তিনি ১৬৫ করেছেন। এছাড়া বলার মতো পারফরমেন্স অক্ষত রঘুবংশী ( ৬৩) ও পুনীত দাতে ( ৩৩)। পুরো ম্যাচে একটা ট্রেন্ড হল যে যখনই মনে হচ্ছে মধ্যপ্রদেশ এগিয়ে আছে তখনই দারুণ ভাবে ম্যাচে ফিরেছে বাংলা। দুই দলই সমানে সমানে লড়েছে, এবং প্রথম ইনিংসের শেষে দাঁড়িপাল্লায় দুই দলই প্রায় একই জায়গায়।
বাংলার ব্যাটাররা কেমন শুরু করতে পারে, তার ওপর এই ম্যাচের ভবিষ্যত অনেকাংশে নির্ভর করবে।
অল আউট মধ্যপ্রদেশ
৩৪১ রানে অল আউট মধ্যপ্রদেশ। শেষ উইকেট গৌরব যাদবকে খাতা খোলার সুযোগ দেননি বাংলার বোলাররা। তিনি অভিষেক পোরেলকে শূন্য রানে ক্যাচ দিয়ে আউট হলেন। চার উইকেট নিলেন মুকেশ কুমার, তিনটি পেলেন শাহবাজ।
আউট কার্তিকেয়
মাত্র ছয় রান করে শাহবাজের বলে আউট হলেন কুমার কার্তিকেয়। ক্যাচ নিলেন আকাশদীপ। মধ্যপ্রদেশ ৩৪০-৯। শেষ তিনটি উইকেট এসেছে ১৭ রানে। ৬৪ রানের পার্টনারশিপের পর যখন মনে হচ্ছিল ক্রমেই বাংলা ম্যাচ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে তখনই দারুণ ভাবে ম্যাচে ফিরল তারা। শাহবাজ অনেক মার খেলেও গুরুত্বপূর্ণ কিছু উইকেট তুলে নিয়েছেন যার জন্য তাঁর বাহবা প্রাপ্য। প্রথম থেকেই ভালো বল করেছেন মুকেশ, এদিনও তার অনথ্য হল না।
মন্ত্রীপতন!
আউট! অবশেষে আউট হলেন হিমাংশু মন্ত্রী। মুকেশ কুমারের বলে অভিষেক পোরেলের হাতে ক্যাচ দিয়ে তিনি আউট হলেন। ১৯টি চার ও একটি চারের সহযোগে ১৬৫ রানের ইনিংস। মধ্যপ্রদেশ ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৩৫। প্রথম ঘণ্টায় কোনও সাফল্য না পেলেও পরপর দুটি উইকেট নিয়ে দারুণ ভাবে ম্যাচে ফিরলেন বাংলার বোলাররা।
নিয়ন্ত্রণ নেই রান ওঠার ওপর
বাংলার প্রধান স্পিনার শাহবাজ আহমেদ প্রায় পাঁচ রান প্রতি ওভার গলাচ্ছেন। দুটি উইকেট হয়তো নিয়েছেন কিন্তু একটা দিক ধরে থাকার যে কাজটি স্পিনারদের থেকে প্রত্যাশিত, সেটি হচ্ছে না। গতকাল কিছুটা সুইং ছিল বলে কার্যকরী ছিলেন মুকেশ ও আকাশ। আজ একেবারেই ম্যাড়ম্যাড়ে এই দুই পেসার। সবমিলিয়ে কিছুটা একমাত্রিক লাগছে বাংলার বোলিংকে। সেই এক্স ফ্যাক্টরটি মিসিং।
১০০ ওভার শেষে মধ্যপ্রদেশ ৩৩২-৭
মন্ত্রী কাঁটায় বিদ্ধ বাংলা। ৪০০ অবধি কি দলের স্কোর টেনে নিয়ে যেতে পারবেন ওপেনার হিমাংশু মন্ত্রী (১৬৪)। যেভাবে তিনি বাংলার বোলারদের খেলছেন, অপর দিকে সঙ্গত পেলে খুব একটা শক্ত হবে না কাজটা। দাতে আউট হওয়ার পর এখন ক্রিজে এসেছেন অনুভব আগরওয়াল।
আউট দাতে!
খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্রেকথ্রু পেল বাংলা। ঝোড়ো ৩৭ বলে ৩৩ রান করে অভিষেক পোরেলের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরলেন দাতে। উইকেট পেলেন শাহবাজ। ৯৮ ওভার শেষে মধ্যপ্রদেশ ৩২৬-৭।
নিষ্প্রভ বাংলার বোলাররা
মুকেশ, আকাশ, সায়ন ও শাহবাজ এখনও পর্যন্ত বোলিং করেছেন কিন্তু কেউই কাজের কাজ করতে পারেননি। এমন মনেও হচ্ছে না যে উইকেট পাবেন তারা। শেষ দশ ওভারে ৫১ রান হয়েছে, কোনও উইকেট পড়েনি। দ্রুত ম্যাচের রাশ পুরোপুরি চলে যাচ্ছে মধ্যপ্রদেশের কাছে।
দেড়শো পেরোলেন মন্ত্রী
আগের দিন যেখানে শেষ করেছিলেন, আজ সেখান থেকেই শুরু করেছেন হিমাংশু মন্ত্রী। আরও বেশি হাত খুলে খেলছেন তিনি। বর্তমানে অপরাজিত ১৬০ রানে। অন্যদিকে ৩৫ বলে ৩৩ করেছেন পুনীত দাতে। ৯৬ ওভার শেষে মধ্যপ্রদেশ ৩২-৬
চারের ফুল ঝুরি
অ্যাটাকিং মাইন্ডসেট নিয়ে আজ খেলতে নেমেছেন মন্ত্রী ও দাতে। তাদের ব্যাটিংয়ের মধ্যে সেই ইনটেন্টটা খুব স্পষ্ট। তিন ওভারের মধ্যে ইতিমধ্যেই পাঁচটি চার হয়েছে, যার মধ্যে মুকেশকে তিনটি মেরেছেন দাতে। অন্যদিকে আকাশকে একই ওভারে জোড়া চার মেরেছেন মন্ত্রী। ৩০০-র খুব কাছে মধ্যপ্রদেশ।
খেলা শুরু হল
দশটায় আউটফিল্ড পরিদর্শনের পর আম্পায়ারদের সবুজ সঙ্কেত পেয়ে খেলা শুরু হল। দায়িত্ব নিয়েছেন মুকেশ ও আকাশ।
আলুরে প্রায় রোজই বৃষ্টির পূর্বাভাস
ম্যাচ চলাকালীন প্রতিদিনই আলুরে বৃষ্টি হবে বলে পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের। এটি নিশ্চিত ভাবেই ম্যাচের ফলাফলের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। বৃষ্টির তীব্রতা কত হয় সেটার ওপর নির্ভর করবে কত ওভার খেলা নষ্ট হচ্ছে। সেই ক্ষেত্রে প্রথম ইনিংসে লিড পাওয়া আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
খেলা শুরু হতে বিলম্ব
গতরাতে বৃষ্টির ফলে মাঠ ভিজে। সেই কারণে আজ সময় মোতাবেক খেলা শুরু করা গেল না। গ্রাউন্ডসম্যানরা চেষ্টা করছেন যাতে যত দ্রুত সম্ভব খেলার উপযোগী করে তোলা যায় মাঠটিকে।
মুকেশ ও আকাশের সাফল্য
সারাদিন ধরেই কাল ভালো বল করেছেন বাংলার এই প্রথমসারির দুই পেসার। মুকেশ উইকেট টু উইকেট ও আকাশ ফোর্থ স্টাম্পের লাইন ধরে বল করেছিলেন মূলত। দুজনেই দুটি করে সাফল্য পেয়েছিলেন। সেদিক থেকে কিছুটা ম্লান ছিলেন দুই স্পিনার শাহবাজ ও প্রদীপ্ত। তবে যত খেলা গড়াবে, স্পিনাররাই সবচেয়ে বড় ভূমিকা নেবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
মন্ত্রী ম্যাজিক
মধ্যপ্রদেশকে গতকাল চাপ থেকে উদ্ধার করেন হিমাংশু মন্ত্রী। ব্যাটিং দেখলে কে বলবে তিনি তাঁর ষষ্ঠ প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলছেন। হিমশীতল মানসিকতায় বাংলার বোলিংকে মোকাবিলা করলেন তিনি। শুরু করেছিলেন খুব ধীর গতিতে, তারপর আস্তে আস্তে হাত খোলেন। দিনের শেষে ১৫টি চার ও একটি ছক্কার সহযোগে ১৩৪ রানে অপরাজিত। নিশ্চিত ভাবেই আজ দ্বিশতরানের টার্গেট নিয়ে নামবেন তিনি যাতে মধ্যপ্রদেশকে একটি বড় রানের ভিত উপহার দেওয়া যায়। অন্যদিকে লাগাতার দ্বিতীয়বার ফাইনালে উঠতে গেলে বাংলার যে তাঁর উইকেট দ্রুত দরকার, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
নতুন বলের গুরুত্ব
গতকাল বিকেলে ৮০ ওভারের পর নতুন বল নেওয়া হয়েছিল। সেটি এখন মাত্র ১০ ওভার পুরোনো। তাই আজ সকালেও বলটি কিছুটা সুইং করবে বলে আশা করা যাচ্ছে। বোলাররাও অনেকটা তরতাজা থাকবেন। কিভাবে তারা সকালে বোলিং করেন, কত তাড়াতাড়ি মধ্যপ্রদেশের ল্যাজটা মুড়িয়ে যায়, তার ওপর অনেকটা নির্ভর করবে এই ম্যাচের গতিপ্রকৃতি।