দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় নির্বাচকদের রাডারে নেই তিনি। মাঝে মাঝে টুইটারে সেই নিয়ে হতাশাও ব্যক্ত করেন তিনি। কিন্তু বুড়ো হাড়ে যে এখনও ভেল্কি দেখানো যায়, এদিন কল্যাণীতে সেটি প্রমাণ করে দিলেন মনোজ তেওয়ারি। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে অপরাজিত ৩০৩ করলেন তিনি। ২১ বছর বাদে কোনও বাংলার খেলোয়াড় তিনশোর কোঠা পেরোলো। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার কোনও বাংলার ক্রিকেটার ট্রিপল সেঞ্চুরি করলেন।
মনোজের ত্রিশতরানের দৌলতে প্রথম ইনিংসে ৬৩৫-৭ ডিক্লেয়ার দিয়েছে বাংলা। জবাবে দিনের শেষে পাঁচ উইকেট হারিয়ে হায়দরাবাদের সংগ্রহ ৮৩। এলিট গ্রুপের এই লড়াইয়ে গতকাল থেকেই দারুন ফর্মে ছিলেন মনোজ। ৪১২ বল খেলে অপরাজিত মনোজ মেরেছেন ৩০টি চার ও পাঁচটি ছক্কা। এর আগে দেবাঙ্গ গান্ধী ১৯৯৮ সালে অসমের বিরুদ্ধে ৩২৩ রান করেন। এই চলতি মরশুমে রঞ্জিতে প্রথম তিনশো রানের ইনিংসও খেললেন মনোজ তিওয়ারি।
নকআউটে যেতে হলে এই ম্যাচ জেতা খুব দরকার বাংলার। কিন্তু এক সময় ৬০ রানে তিন উইকেট পড়ে যায়। তখনই খেলার হাল ধরেন মনোজ। একবার জীবন পেলেও পিছনে তাকাননি মনোজ। রানের পাহাড় গড়ার ওপর মন দিয়েছেন। রবিবার দ্বিশতরানের পর এটিকে নিজের অন্যতম সেরা ইনিংস বলেছিলেন তিনি। এবার ত্রিশতরানের পর হয়তো তিনি এটিকেই তাঁর সেরা ইনিংস বলে মনে করবেন।
পিটিআইকে মনোজ বলেন যে তিনি ভালো খেললেও বড় রান পাচ্ছিলেন না। কেরালার সঙ্গে খেলার সময় তাঁর পিঠে ব্যাথা হয়ে গিয়েছিল বলেও জানান তিনি। মনোজের মতে পরিস্থিতি অনুযায়ী এটা তাঁর খেলা অন্যতম সেরা ইনিংস।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।